জয়পুরহাটে চলছে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের মৌসুম। খামারি ও প্রান্তিক কৃষকদের গবাদি পশুর খাদ্যের চাহিদা পূরণে পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে পশুর প্রধান খাদ্য হিসাবে পরিচিত ধানের খড়।
আর এই সময়ে মৌসুমী ব্যবসায়ী গ্রামের কৃষকদের বড় বড় খড়ের পালা ক্রয় করে ভ্যান বোঝাই করে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে খামারি ও কৃষকদের কাছে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
বর্তমানে দূরুত্ব ভেদে প্রতি ভ্যান খড় বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
ফেরি করে খড় বিক্রি করতে আসা ঘোড়াঘাট উপজেলার ডুগডুগি গ্রামের আতিয়ার রহমান জানান, এবার গ্রামে গ্রামে খড় বিক্রি করার জন্য স্থানীয় এক কৃষকের ৪৫ বিঘা জমির একটি খড়ের পালা ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ভাল বাজার থাকলে খড়ের পালা ভেঙ্গে বিক্রি করলে এক লাখ ১০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন। এতে খরচ বাদে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ থাকবে তার।
একই গ্রামের খড় বিক্রেতা জালাল হোসেন জানান, ভ্যান চালানোর পাশাপাশি প্রতিবছর এ সময়টা গ্রামে গ্রামে খড় বিক্রি করেন। খামারি ও কৃষকরা খড়ের জন্য ফোনে জানালে তারা তাদের বাড়িতে গিয়ে খড় পৌছে দেন। এতে তাদের ভালই রোজগার হয়।
উপজেলার আংড়া গ্রামের আমির হোসেন জানান, গত বোরো মৌসুমে প্রায় ১০ একর জমির খড় পালা দিয়ে রেখেছি। আগে চাহিদা না থাকার কারণে খড়ের পালাগুলো বৃষ্টির পানিতে পঁচে নষ্ট হয়ে যেত। কয়েক বছর থেকে খড়ের প্রচুর চাহিদা। এবার এই ১০ একর খড়ের পালাটি ৩৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের খামারী আতাউর রহমান বলেন, আমার খামারে দেশি-বিদেশি ১০ গরু আছে। তৈরি খাদ্যের পাশাপাশি খড় খাওয়াতে হয়। এই সময়টাতে নিজের জমির খড় শেষ হলেও খামারের গরুর খাওয়ার কোন সমস্যা হয় না। ফোন দিলেই বাড়ি খড় এনে পৌছে দিয়ে যায়।
উপজেলা ভেটোনারী সার্জন মো. ফয়সাল রাব্বী বলেন, আমাদের উপজেলায় গো-খাদ্যের কোন সংকট নেই। তবে অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেশি থাকায় খড়ের চাহিদা বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :