বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এক ১৫ আগস্টে শেখ মুজিবুর রহমানের জানাজায় লোক পেলাম না, আর এত বছর পরে ১৫ আগস্টে কোন জায়গায় মাহফিলের আওয়াজ পেলাম না। আগে তো সেনাবাহিনী মারছে, এখন শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সালমান ওমর রুবেল`র আয়োজনে ফ্রী চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার বাবাকে এমন মারা মেরেছে মসজিদে তার জন্য দোয়া করবে এমন লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং আওয়ামী লীগ তাদের নেতার প্রতি অকৃতজ্ঞ। ওদের কিন্তু বরকত ভালো না। যার কারণে তাদের ঝাকে-ঝাকে দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। আমি ভারত সরকারকে বলবো, আপনারা তো এতদিন দেশ চালাইলেন, এইবার ফেরত দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শেখ মুজিবর রহমান বড় না জিয়াউর রহমান বড় এটা নিয়ে মাথা নষ্ট করে তাদেরকে অপমান করার প্রয়োজন হয় না। যার যার অবস্থানে, যার যার দায়িত্বে সে সে শ্রেষ্ঠ। এটার জন্য সংবিধান বা অন্য কিছু লাগে না। আমরা বড় মানুষগুলোকে বড় করতে গিয়ে ছোট করে ফেলি।
তিনি বলেন, হালুয়াঘাট বর্ডার দিয়ে ফেরত দেন আমরা রিসিভ করব। আমরা কথা দিলাম আমরা আপনাদের উপর ন্যায় বিচার করব। প্রচলিত যে বিচার হচ্ছে সে বিচারে একটু দাঁড়ান। আপনারা যে অপরাধ করেছেন, প্রচলিত আইনে যে বিচার হবে, তাতে আপনাদের যতদিন জেল হবে, সেই পরিমাণ হায়াত আল্লাহ আপনাদের দেয় নাই।
ভারতের সাথে বন্ধুত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, বন্ধুত্ব কি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সঙ্গে করবেন নাকি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে করবেন? ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব হয় সেটা হবে প্রকৃত বন্ধুত্ব। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে। শুধু একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে কোনো লাভ হবে না। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় দাড়িয়ে বলছি স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্ধুত্ব নয়, সার্বভৌত্ব রক্ষার্থে বন্ধুত্ব রাখতে চাই। আমাদের স্বার্থে বিসর্জন দিয়ে নয়, কতৃত্বের মাধ্যমে নয়, বন্ধুত্বের মাধ্যমে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আর ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে।
বাকশাল কায়েমের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দেশে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষ ৭ নভেম্বর একটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
আয়োজিত বিএনপি নেতা সালমান ওমর রুবেলের ফ্রী চক্ষু চিকিশসা ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি`র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দসহ প্রমুখ।
ফ্রী চক্ষু চিকিশসা প্রায় ৩ হাজার চক্ষু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছানি পড়া রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের জন্য সিলেকশন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :