ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

শেখ হাসিনা ও আ.লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: মামুনুল হক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম

শেখ হাসিনা ও আ.লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: মামুনুল হক

ফাইল ছবি

বিএনপি-জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিকদলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখনও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র চলছে। তাই সামনের দিনগুলোতে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। নয় তো যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সেটা ছিনতাই হতে পারে।

আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের এন আহাম্মদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সভাপতি মাও.লোকমান হোসেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রমাণ করে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেশে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই। দেশে গণহত্যা ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এটাই এখন মানুষের দাবি।

মামুনুল হক অভিযোগ করে বলেন, ১৯৭১ সালে বিজয়ের কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের বিজয় ছিনতাই করে নিয়েছে ভিনদেশী একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য এবং এই দেশের ৭ কোটি মানুষের ইচ্ছা এবং অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে ভিনদেশী আরেকটি রাষ্ট্রের সংবিধানের মূলনীতিগুলো কলমের খোঁচায় একটি প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের একটি নতুন চেতনা তৈরি করা হয়েছে। এর চেয়ে দুঃখের বিষয় হলো ১৯৭২ সালের চেতনাকে সবসময় বাংলাদেশের মানুষের কাছে ৭১ সালের চেতনা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এইভাবে ৭২ সালের চেতনার মাধ্যমে ৭১ সালের চেতনাকে ছিনতাই করা হয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে খুনি হাসিনা নিজ দলের নেতাকর্মী ও দেশের মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরো বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর গণহারে যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে, এটা কোনও সভ্য দেশে হতে পারে না। শুধুমাত্র ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বছরের পর বছর হত্যা, গুম ও খুন নির্যাতন চালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। কিন্ত ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি। এদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। ভারত কিভাবে হাজার হাজার মানুষ খুনের আসামি শেখ হাসিনাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, এটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ ভারতের প্রশ্রয়ে শেখ হাসিনা সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব মা. জালাল উদ্দিন আহমদে, তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজি, আতা উল্যাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, মো. ফয়সালসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

আরবি/ এইচএম

Link copied!