ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে এক আওয়ামী লীগের নেতাকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আটক ওই নেতার নাম চন্দন কুমার পাল (৭১)। তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার পাসপোর্ট নম্বর-A 01882967।
আটক চন্দন কুমার পাল শেরপুর জেলা সদরের পুরাতন গোহাটি গ্রামের দ্বিজেন্দ্র চন্দ্রের ছেলে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মামলা নম্বর-০৯, তারিখ - ১২/০৮/২০২৪ আটকের পর তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া।
ওই সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি চন্দন পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন চন্দন কুমার পাল স্বীকার করে জানান, তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৯৬ সালে শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির এপিপি ছিলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, আমাদের কাছে গোপন খবর ছিল, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ পথ দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবে।
পরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গোপনে ওত পেতে থাকে। পরে তার পাসপোর্টে এক্সিট সিলের জন্য ইমিগ্রেশনে গেলে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে স্বীকার করেন। পরে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূয়া জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে যেসব পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারতে যাচ্ছেন তাদের গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ডেস্কে দায়িত্বরত অফিসারাও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জড়িত কোনো এমপি-মন্ত্রী এবং দলীয় নেতাকর্মীরা যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :