ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মহাসড়ক অবরোধ করল শেরপুর মহিলা কলেজের শিক্ষর্থীরা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম

মহাসড়ক অবরোধ করল শেরপুর মহিলা কলেজের শিক্ষর্থীরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে সন্মান দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের নির্ধারিত ফি কমানোর দাবিতে ঢাকা বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করেছে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজের শিক্ষর্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে বারোটা থেকে প্রায় এক ঘন্টা ধরে অবরোধের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত রাখে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে শত শত শিক্ষার্থী। “বন্ধ করলে দুর্নীতি, হবে কলেজের উন্নতি, আমাদের দাবি, আমাদের দাবি, মানতে হবে , মানতে হবে” শ্লোগানে চারিদিক মুখরিত হয়ে উঠে। এসময় বেশকিছু অভিভাবকও তাদের যোগ দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ চলমান সন্মান দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণে অতিরক্তি টাকা নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কারও ফি ১৭ হাজার টাকা থেকে ১৯ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে বলে তারা জানান। প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকা ভর্তি ফি নেওয়া হয়েছে। তখন অনেকের কাছ থেকে যে টাকা কম নেওয়া হয়েছে, এখন সে টাকাও যুক্ত করা হয়েছে। তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি ও কলেজের যৌক্তিক বেতন নির্ধারণ করে ফরম পূরণের টাকা নেওয়ার দাবি করেন তারা। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে লাবনী আক্তার, নাজমিন আক্তার, মরিয়ম আক্তারসহ অনেক শিক্ষার্থী জানান, এই দাবি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু শিক্ষক তাদের সাথে খারাপ আচরন করে কলেজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। তাই বাধ্য হয়েই তারা দাবি আদায়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।

এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্মান দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের জন্য এক বছরের বেতন ৬ হাজার টাকা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি আড়াই হাজার টাকা, উন্নয়ন ফি এক হাজার টাকা, বিদ্যুৎ ও পৌরকর ফি ২ শত টাকা ও বিবিধ ফি ৫শ টাকা মোট ১০ হাজার ২শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সাথে যাদের পূর্বের বকেয়া ছিলো সেগুলোও আদায় করা হচ্ছে। এজন্য ফরম পূরণের ফি বেশি মনে হচ্ছে। তবে কোন কোন খাত মিলিয়ে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয় তা জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, “আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। এর আগের অধ্যক্ষ এসব ফি নির্ধার করেছেন। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে সুনির্দিষ্ট দাবিসহ আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। তাদের সাথে আলোচনা করা হবে।”

কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী বলেন, আগামীকাল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা করা হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন অযৌক্তিক ফি আরোপ করে থাকলে বাদ দেওয়া হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!