বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম শাসন আমল ১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত। সে সময় তাদের কর্মকান্ডে জনগণ অতিষ্ঠ থাকায় তারা ২১ বছর ক্ষমতা আসতে পারেনি। পরে শেখ হাসিনা তার মায়া কান্নায় মানুষ আবার ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থেকে জনগণের উপর নির্যাতন নিপিড়ীত চালিয়েছে। তার পরবর্তী ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত একই ভাবে নির্যাতন নিপিড়ীত চালিয়ে দেশের আলেম ওলামা, সেনা সদস্যসহ সূর্য সন্তানদের হত্যা করা ও মানুষের বাক স্বাধীনতাকে রূদ্ধ করে দিয়েছিল। তখন যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতো তাকে রূদ্ধ করে দেয়া হতো। পর্যায়ক্রমে দেশে দুর্নীতি লুটপাট বেড়ে উঠে। পাশাপাশি হত্যা ও গুমের শিকার হয় সত্যবাদিরা । এর মাঝে শাপলা চত্বর ও পিলখানাসহ নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এসবের ক্ষমা সে পাবে না। তাকে সহ সকল অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সকালে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইসলামি ছাত্রশিবির ফেনী জেলা শাখার আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের অধিকার হরন করেছে; ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট সে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে। তার আগে শত শত ভাই বোনদের গুলি করে হত্যা করে হাসিনা আজ আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ সকল শহীদের রক্তের বিনিময়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এ সুন্দর বাংলাদেশকে বিনির্মানে কাজ করে যাবে ইসলামী ছাত্রশিবির। তিনি আরও বলেন, দেশ এখন শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসছে। কেউ কোন ষড়যন্ত্র চালালে তা রুখে দিবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা কর্মীরা। নৈতিকতা ও চরিত্র ঠিক রাখা ছাত্রদের আগমন এ সংগঠনে। কুরআন হাদিসের জ্ঞান বুকে ধারণ করে এ সংগঠনের নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার সভাপতি মু. ইমাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবু হানিফ হেলাল`র সঞ্চালনায় কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর একেএম শামসুদ্দিন, শহর শাখার জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোহাম্মদ ইলিয়াস ও ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক কেফায়েত উল্লাহ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :