বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে শিশু বলাৎকার ঘটনায় ধর্ষক শিক্ষককে মাদ্রাসার মধ্যে জুতোপেটার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, জুতোপেটা নয় আরো কঠিনতর বিচার হওয়া উচিত।
অভিযোগ রয়েছে বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত থাকায় মাদ্রাসা শিক্ষক ফোরকান হোসাইনের একাধিক স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
তালতলী সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রা গ্রামে খানকায়ে রশিদিয়া নুরানি মাদ্রাসার সাবেক পরিচালক হাফেজ ক্বারী মোহাম্মদ ফোরকান হোসাইন কারিমী ১০ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন। এতে ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঐ মাদ্রাসা শিক্ষকের চাচা ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি স্হানীয় ইউপি সদস্য মিরাজ হাওলাদার মাদ্রাসার মধ্যে বিচার করে জুতোপেটা করে।
স্থানীয়দের দাবি, মাদ্রাসা শিক্ষককে জুতোপেটা নয় তাকে আইনের হাতে তুলে দিয়ে কঠিন বিচার করা উচিত। ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও স্থানীয়রা বলছে এর আগেও একাধিকবার এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আর্থিক জরিমানা প্রদান করছে এবং চাকরি হারিয়েছে।
বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত থাকায় তাঁর এপর্যন্ত ৫ স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তাদেরকে পাশবিক যৌন নির্যাতন করায় বিচার সালিসি করে আর্থিক জরিমানা দিতে হয়েছে, বলে জানান তারা।
এবিষয়ে মাদ্রাসা সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিরাজ হাওলাদার বলেন মাদ্রাসাটি টিকিয়ে রাখতে বিষয়টি গোপন রাখে। একাধিক বিয়ে করেও আর্থিক জরিমানা দিতে হয়েছে ফোরকানকে। মাদ্রাসার পরিচালক পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :