চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা থেকে মনোয়ারা খাতুন নামের এক মাদক ব্যবসায়ী পালোনোর ঘটনায় এক এসআই ও দুই কনেস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে জেলা পুলিশ এ সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার রাতে তিন জনকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তিনি পুলিশ সদস্য ক্লোজের বিষয়ে জানতে জেলা পুলিশের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার ব্যবহৃত সরকারী মোবাইল ফোন নাম্বারে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেননি।
জানা যায়, গতকাল বুধবার সকালে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের মনোয়ারা খাতুন ও তার সঙ্গী নাজমুল হুদাকে ৫৮ বিজিবির গয়েশপুর বিওপির সদস্যরা ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে জীবননগর গোয়ালপাড়া থেকে। সন্ধায় বিজিবি আসামিসহ জীবননগর থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয় থানায়। বৃহস্পতিবার সকালে মনোয়ারা খাতুন টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়।
জীবননগর থানায় এ সময় ডিউটি অফিসার হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন এসআই পবিত্র ও দুই কনেস্টেবল মিতা ও সলেমান। তিন জন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার জেরে থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, কারণ আমি অভিযানে বেরিয়ে পড়েছি। ক্লোজের বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন, দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের ব্যবহৃত সরকারী মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত লিখুন :