পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লাউয়ের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। মাত্র ষাট শতাংশ জমিতে বত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে তৈরি করেছে লাউয়ের ক্ষেত। তার এ ক্ষেতে এখন দেড় হাজারের অধিক ছোট বড় লাউ ঝুলছে। আর এ ক্ষেত থেকে মাত্র একমাস পাঁচ দিনে আয় করেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। বলছি বালিয়াতলী ইউনিয়নের ছোট বালিয়াতলীর কাংকুনিপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মোস্তফা জামানের কথা। কুমড়া জাতীয় ফসলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কলাপাড়া পটুয়াখালীর সহযোগিতায় পঁচানব্বইটি মেদা তৈরি করে ডায়না জাতের বীজ থেকে চারা তৈরি করে কৃষক মোস্তফা জামান। প্রতি মেদায় দুটি করে লাউয়ের চারা লাগিয়ে সাথে ব্যবহার করছে ভারমি কম্পোস্ট, টিএসপি, এমওপি সার। মাসখানেক পরিচর্যা করে পেয়েছেন কাঙ্খিত সাফল্য।
লাউয়ের ক্ষেত দেখতে আসা তাজুল ইসলাম বলেন, মোস্তফা জামান ভাইয়ের লাউয়ের ক্ষেত দেখলে সবারই ইচ্ছে করবে লাউয়ের ক্ষেত করার। তিনি একজন আধুনিক মানের আদর্শ কৃষক।
কৃষক মো. মোস্তফা জামান বলেন, দেড়মাস আগে অনেক বর্ষা ছিলো তাই বীজ লাগাতে দেরি হয়েছে। না হলে আরো বেশি দামে লাউ বিক্রি করতে পারতাম। আমার এ ক্ষেতে বর্তমানে ছোট বড় দেড় হাজারের অধিক লাউ রয়েছে। আমার লাউয়ের ক্ষেত প্রায় দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। রবিবার থেকে পাইকাররা পর্যায়ক্রমে ক্ষেত থেকে লাউ কেটে নিতেছে।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বালিয়াতলী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুজন চন্দ্র মন্ডল বলেন, মোস্তফা জামান একজন আদর্শ কৃষক। আমি তাকে সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম। তাই সে এবার দুই বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছে। বর্তমানে লাউয়ের মাচায় বেশ লাউ ধরেছে দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকেরা লাউ চাষের বিষয় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমি আশা করছি এ সাফল্য দেখে এলাকায় লাউ চাষের সম্প্রসারণ ঘটবে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, মো. মোস্তফা জামানের এ লাউয়ের ক্ষেত তৈরি করতে কৃষি অফিস থেকে যত সহোযোগিতার দরকার ছিলো আমরা তা করেছি।
উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সুজন মন্ডল সবসময় এই প্রদর্শনীর দেখভাল করতে নিয়োজিত ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :