ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় নতুন অধ্যক্ষকে কলেজ থেকে বের করে দেন শিক্ষার্থীরা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৪:০১ এএম

কুষ্টিয়ায় নতুন অধ্যক্ষকে কলেজ থেকে বের করে দেন শিক্ষার্থীরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মোসলেম উদ্দিন যোগদান করতে পারেননি।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়াসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে কাজ করেছেন মোসলেম উদ্দিন। গত ১ সেপ্টেম্বর কলেজের অধ্যক্ষ আজমল গণি অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম। এরপর ২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিনকে কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নতুন অধ্যক্ষ যোগদানের জন্য আবারও কলেজে যান। তখন অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগানো দেখতে পান। অফিসের লোকজনের সহায়তা তালা খুলতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় অধ্যক্ষ তাঁর কক্ষের তালা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাঁরা জানতে পেরেছেন নতুন অধ্যক্ষ সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নন–বিসিএস। কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের কারণে অধ্যক্ষ নিয়োগ পেয়েছেন। তাই স্বৈরাচারী সরকারের কোনো দোসরকে তাঁদের ক্যাম্পাসে চান না।

অভিযোগ অস্বীকার করে মোসলেম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে একবার বদলি হয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় হানিফসহ তাঁর চাচাতো ভাইয়ের বাধার কারণে যোগদান করতে পারেননি। তাহলে তিনি তাদের দোসর হলেন কীভাবে? বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেন না।

এর আগে রোববার বিকাল ৪ টার পর মোসলেম উদ্দিন কলেজে গেলে কিছু শিক্ষার্থী তাঁর বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন। তাঁরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর নতুন অধ্যক্ষকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। 

আরবি/জেডআর

Link copied!