বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

শাহজাদপুরে শীতে অসহায় ও দুস্থদের দুর্ভোগ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

শাহজাদপুরে শীতে অসহায় ও দুস্থদের দুর্ভোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দিন ধরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে হাঁড় কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে। ফলে যমুনা নদী অধ্যুষিত সোনাতুনী, কৈজুরী, জালালপুর ও গালা ইউনিয়নসহ শাহজাদপুর পৌর এলাকা ও অন্যান্য ইউনিয়নের অসংখ্য অসহায়, দুস্থ মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে অবর্ণনীয় কষ্ট পোহাচ্ছে। অনেকে অর্থের অভাবে শীতবস্ত্র কিনতে না পারায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন নিবারণের চেষ্টা করছে। তাদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ জরুরী হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী ৪টি ইউনিয়নের ফাঁকা স্থানে ঘন কুয়াশার পাশাপাশি জোরেশোরে কনকনে হাওয়া বইছে। গত ৫/৬ দিন ধরে এ দুরাবস্থা শুরু হয়েছে। অর্থাভাবে হাজার হাজার উদ্বাস্তু পরিবারের এসব সদস্যরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। সহায় সম্বলহীন এসব ভাগ্যবিড়ম্বিত অসহায় মানুষের মধ্যে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিরতণ অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। শীতে শাহজাদপুরসহ যমুনা তীরবর্তী পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফলে
তাদের জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে।

যমুনা তীরবর্তী উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের জগতলা গ্রামের এছাক মিয়া, রহিমা বেওয়া, কুলছুনসহ যমুনা নদী তীরবর্তী ও যমুনার চরাঞ্চলের বেশ কয়েকজন অসহায় এলাকাবাসী জানায় ‘শীতে আর কী করমু বাই। পোলাপান লিয়্যা তিন ব্যালা প্যাট ভইর‌্যা খাইব্যারই পারিন্যা! কম্বল কিনমু ক্যাবা কইর‌্যা? যদি সরকার, চিয়্যারম্যান, মেম্বার, বড়লোকেরা আমাগরে শীত থ্যেইক্যা বাচাইতে কম্বল দিলোনি, তালি আরাম পাইল্যামনি! আল্লাহর কাছ দোয়া কইরল্যামনি। আপনেরা কিছু করেন বাই, আমাগরে ল্যাইগ্যা কিছু করেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যমুনা নদী তীরবর্তী শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী, জালালপুর, জামিরতা, জগতলা, কাশিপুর, জালালপুর, গালা, সোনাতুনীসহ যমুনার দুর্গম চরাচঞ্চলে কনকনে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করায় শীতের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌছেছে। এছাড়া, চর কৈজুরী, চরগুধিবাড়ি, চিলাপাড়া, লোহিন্দাকান্দি, জামিরতা, জাফরগঞ্জ, পাখিরাজপুর, ভেবিগঞ্জ, কাটাজোলা, পূর্ব চরকৈজুরী, উল্টাডাব, পাথালিয়া পাড়া এসব গ্রামের হতদরিদ্র উদ্বাস্তুরা শীতবস্ত্রের অভাবে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে। এদের মধ্যে অবিলম্বে জরুরী ভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণ জরুরী হয়ে পড়েছে। অকষ্মাৎ তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশায় তদের জনজীবন বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগেও তুলনামুলকভাবে শীতের তীব্রতা একটু কম ছিল। কিন্তু ৫/৬ দিন ধরে যমুনা নদীর তীরবর্তী ফাঁকা এলাকাগুলোতে সজোড়ে প্রবাহিত হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় দরিদ্র জনসাধারনের জনজীবন তেঁতো হয়ে উঠছে। সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছেন এলাকার মেহনতী শ্রমজীবী মানুষেরা। তীব্র শীতে তারা স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর কালাতিপাত করছে। হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা তীব্র শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। তাঁত ও গবাদী পশু সমৃদ্ধ শাহজাদপুরের যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে তাঁতবস্ত্র উৎপাদন বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।
গবাদী পশু লালনপালন ও পরিচর্যায় তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে এসব অসহায়দের মধ্যে ব্যাপকহারে শীতবস্ত্র বিতরণ অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে।

তীব্র শীতে কষ্ট পাওয়া ওইসব দুস্থ, অসহায় এলাকাবাসী আরও জানান, নিত্যপণ্যের সীমাহীন উর্ধগতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকাটাই অত্যন্ত দূরহ হয়ে পড়ায় শীত নিবারনে বস্ত্র বা শীতের পোশাক কেনার মতো তাদের হাতে টাকা নেই। কেউ যদি এ দুরাবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ায়, শীতের বস্ত্র দেয়, তাহলে তাদের জন্য খুবই ভালো হতো। মহান আল্লাহ তায়ালা যেনো এমন বিপদ হতে তাদের রক্ষা করেন, বিত্তবান ও সুহৃদের মাধ্যমে তাদের যেনো শীতবস্ত্র বিতরণ করেন-সৃষ্টিকর্তার প্রতি এমনই প্রার্থনা অসহায় দুস্থদের।

আরবি/জেডআর

Link copied!