বাংলাদেশে এক বছরের বেশি বয়সী শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। `সুইমসেফ - জীবনের জন্য সাঁতার` কার্যক্রম ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু থেকে রক্ষায় সপ্তম টিকা হিসেবে কাজ করছে। বিগত ১৯ বছরের গবেষণায় সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি ) পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে যেকটি কার্যকরী সমাধান আবিষ্কার ও বাস্তবায়ন করেছে, তার মধ্যে `সুইমসেফ জীবনের জন্য সাঁতার` অন্যতম। এ কার্যক্রমের আওতায় ৬ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখার ২১ টি ধাপ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুরা পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা ও তাদের উপস্থিতিতে কেউ পানিতে ডুবে গেলে ডাঙায় থেকে তাকে উদ্ধার করার কৌশল রপ্ত করছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর হিসাবে বরিশাল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিভাগ। এই বিভাগের দুই জেলা পটুয়াখালী ও বরগুনার তিন উপজেলা কলাপাড়া, বেতাগী ও তালতলীতে ২০১৬ সাল থেকে `ভাসা` প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে সিআইপিআরবি।
প্রজেক্ট ভাসা- ২ এর সুইমসেফ কার্যক্রমের অধীনে ২০২৪ সালে ১০ হাজার শিশুকে স্থানীয় সাঁতার প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার ৪৯৩০ জন শিশুকে এই প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের এবং ১টি পৌরসভার ৩২টি ওয়ার্ড থেকে ৩২টি স্থানীয় পুকুরকে সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। ৬৪জন স্থানীয় সাঁতার প্রশিক্ষক দক্ষতার সাথে বিভিন্ন ব্যাচে শিশুদের সাঁতার শিখিয়েছেন। শিশুদের পানিতে ডুবা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও সাঁতার শেখানোর প্রতি আগ্রহ বাড়াতে উত্তীর্ণ শিশুদের নিয়ে কেন্দ্র/পুকুরভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ৮ থেকে ২৯ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :