লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রসায়ন বিদ্যায় এবার প্রথমবর্ষ শেষ করেছে আশরাফুল। গুনছে দ্বিতীয় বর্ষের প্রহর। বাবা প্রবাসী হওয়ায় সংসারে নেই অভাবের ছোঁয়া। তবুও ছেলেটি স্বপ্নবাজ।
স্থানীয় প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী কলেজ থেকে সে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। ২২ বছর বয়েসী এই তরুণের কৃষি উদ্যোগ ইতিমধ্যেই দিয়েছে আলোচনার জন্ম। প্রায় ৩শ` শতক (৩০০ শতাংশ) জমি লিজ নিয়ে কৃষি প্রকল্প শুরু করেছে সে।
জেলা সদরের উত্তর হামছাদি ইউনিয়নের কাপিলাতলী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করা আশরাফুল পড়াশোনায়ও বেশ এগিয়ে। বাবা মামুন অর রশিদ ও মা শারমিন আক্তারের ঘরে জন্ম গ্রহণ করা আশরাফুলের পুরো নাম আশরাফুল ইসলাম। দুই ভাই, এক বোন ও বাবা-মাসহ তাদের ছোট্ট সংসার।
আল সাফি এগ্রো লিমিটেড নামে তার পরিচালিত একটি গবাদি পশু প্রজেক্টে বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। যার পুরোটাই নিজস্ব অর্থায়ন। মাঠ ও উদ্যান ফসল হিসেবে ডাল,মরিচ,ধান,পেঁয়াজ,রসুনসহ মৌসুমি বিভিন্ন শাক সবজি চাষ করে সে। তার খামারে রয়েছে প্রায় ৩টি ভেঁড়া, ৫টি ছাগল, শতাধিক দেশীয় হাঁস মুরগি এবং ১৫ টি ছোট-বড় গাভী ও ষাঁড়।
আশরাফুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আমি উদ্যোগ নিয়ে প্রায় ৩শ` শতক জমি লিজ নিয়েছি। সেখানে কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তুলেছি। পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা বুনছি আপাতত। ফল ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
আশরাফুল আরও বলেন, তরুণদের জন্য আমার একটাই কথা- পড়াশোনা করে চাকরির জন্য বসে না থেকে সঠিক পরিকল্পনাসহ সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করলে ভালো কিছু করা সম্ভব।
আশরাফুলের মা শারমিন আক্তার রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ছেলেকে চাকরি করাবো না। সে উদ্যোক্তা হতে চায়। পড়াশোনা করে অন্যের অধীনে কলুরবলদ খাটার চেয়ে নিজে উদ্যোক্তা হওয়া সম্মানজনক।
খামার থেকে প্রাপ্ত দুধ আপাতত বাজারে বিক্রি না করলেও সেগুলো মেটাচ্ছে আশরাফুলের পরিবারের প্রয়োজনীয় দুগ্ধ চাহিদা। কুরবানির উপযোগী গরু প্রস্তুতকরণে মনোযোগী সে।
আপনার মতামত লিখুন :