বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

সিদ্ধিরগঞ্জে দোকানের মালামাল লুট করে জমি দখল করলো কথিত বিএনপি নেতা!

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

সিদ্ধিরগঞ্জে দোকানের মালামাল লুট করে জমি দখল করলো কথিত বিএনপি নেতা!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দোকান ভাংচুর, মালামাল লুট করে জোরপূর্বক জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু ও কথিত বিএনপির নেতা গোলাম রাব্বানি (৭০) ও তার ছেলে রুবেল মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে। এতে ভুক্তভোগীর প্রায় ৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি এবং ৭০ হাজার টাকার মালামাল লুট হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী নারী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

এর আগে শুক্রবার সকাল ৭টায় মিজমিজি ধনু হাজী রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গোলাম রাব্বানি সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লার মৃত হাজী তোরাব আলীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোলাম রাব্বানী ও তার ছেলে রুবেল মিয়ার নির্দেশে ১৫-২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, ধারালো ছোড়া, চাপাতি, কোদাল, এসএস পাইপ, হামার নিয়ে ধনুহাজী রোড এলাকায় তার তিনটি দোকান ভাঙ্গচুর করে। পরে ভুক্তভোগীরা ঘটনাস্থলে আসলে বিবাদীরা বাদিকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।

ভাংচুরে জড়িত থাকা ইব্রাহিম স্বীকার করে বলেন, আমাকে গোলাম রাব্বানী টাকা দিয়েছে এটা ভাঙ্গার জন্য। তাই আমি এটা ভেঙ্গে দিয়েছি। এর থেকে বেশি আমি আর কিছু জানিনা।

তিনি আরও বলেন, আমাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছে কার নির্দেশে ভাঙ্গা হয়েছে? আমি ওসি স্যারকেও বলেছি, গোলাম রাব্বানীর নির্দেশে ভাঙ্গছি।

এ বিষয়ে জানতে গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

এলাকাবাসী জানান, গত ৫ই আগস্টের পর থেকে তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। ভয়ে তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস করে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি বিএনপির কোনো পদে নেই। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতৃত্বে থাকা কেউই তাকে চিনেন না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, ভাংচুরের ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং একজন আমার কাছে স্বীকার করেছেন, রাব্বানীর নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ভুক্তভোগী সকালে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। 

আরবি/জেডআর

Link copied!