শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত বগুড়ার রিপন ফকিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন করা হবে।
রোববার দুপুরে বগুড়া সদরের এরুলিয়া বানদিঘি ফকিরপাড়া এলাকার কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। গত ৪ আগস্ট শহরের ২ নং রেল ঘুমটি ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিপন ফকির।
মৃত্যুর তিনমাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন কাজে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম, জাহিদ হাসানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথভাবে আবারও মরদেহ দাফন করা হবে।
আন্দোলনে রিপন ফকিরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী মাবিয়া বেগম বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বগুড়ার কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রিপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য ২৮ অক্টোবর বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতে আবেদন করেন। গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আবেদন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়া-কে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথভাবে পুনরায় দাফন করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :