সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের দুই পদ থেকে বেতন-ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িচালক (ড্রাইভার) শাহিন বাপ্পির বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে একটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পিয়ন পদে অন্যটি ইউএনও’র গাড়িচালকের পদে থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। আর তার এ কাজে সহযোগিতা করছেন ইউএনওর অফিস সহায়ক হাসানুজ্জামান।
জানা গেছে ,২০১৮ সালে থেকে শাহিন বাপ্পি দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে ইউএনওর গাড়িচালক হিসেবে ৫৫০ টাকা মজুরীতে কর্মরত আছেন। পরে ২০২৪ সালে ৪ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের ২০তম গ্রেডে (পিয়ন) পদেও কর্মরত আছেন তিনি। তবে গাড়িচালকের পদে আপন চাচা ইসরাফিল হোসেনের নাম ব্যবহার করে তুলে নিচ্ছেন বেতন-ভাতা।
মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের (চলতি দায়িত্বে ইউএনও) প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সিএ) আল-আমিন জানান, ৬-৭ মাস ধরে শাহিন চেয়ারম্যান অফিসের ২০তম গ্রেডে কর্মরত রয়েছেন। নিয়মিত অফিস করেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
মেহেরপুর সদর উপজেলার হিসাব সহকারী হাসানুজ্জামান জানান, শাহিন বাপ্পি চেয়ারম্যান অফিসের পিয়ন ও ইউএনও অফিসের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তবে তিনি গাড়িচালকের বেতন নেন না। তখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অপারগতা জানান। সাংবাদিকদের প্রেশ্নের একপর্যায়ে দুই পদ থেকে বেতন উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন ওই কর্মকর্তা।
জানতে চাইলে শাহিন বাপ্পি জানান, পরিষদ চেয়ারম্যান অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ড্রাইভার হিসেবে দুই স্থান থেকে বেতন উত্তোলন করা হয়। তবে ইউএনও’র ড্রাইভারের বেতন ইউএনও তার পকেটে রেখে দেন। তবে সেখান থেকে একটা অংশ সাংবাদিকদের দেন বলে জানান তিনি। তার আপন চাচা ইসরাফিল হোসেন ইউএনওর ড্রাইভার হিসেবে দাবী করেন তিনি।
ইসরাফিল হোসেনের মোবাইল একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজী মূয়ীদর রহমান ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহানাদের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি।
আপনার মতামত লিখুন :