কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে তীব্রতা বেড়েছে

পদ্মার ভাঙনে তীব্রতা বেড়েছে। আর এতে করে মহাসড়ক ভাঙনের আশংকা রয়েছে। তাতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকাও রয়েছে।

জানা গেছে, পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়েছে ভেড়ামারা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। চরম আতঙ্কে দিন কাটছে এসব এলাকার অনেক মানুষের। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি। উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ মাইল, মসলেমপুর ও মুন্সিপাড়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পদ্মা নদীর ভাঙনে মহাসড়কও হুমকির মুখে। ভাঙনে কৃষি জমি, ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। উপজেলার সাহেবনগর এলাকায় কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক থেকে নদী এখন মাত্র ৪০ মিটার আছে। সড়কটি যেকোনো সময় ভাঙনের কবলে পড়তে পারে। এছাড়াও পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রীডের একটি টাওয়ার।

ভেড়ামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ১২ মাইল, মসলেমপুর ও মুন্সিপাড়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীভাঙন নিয়ে সেখানে আন্দোলন হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আমরা ব্যাপারটি অবজারভেশনে  রেখেছি। কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

এদিকে ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. শারমিন আখতার ও পুলিশ সুপার, মিজানুর রহমান।  মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়ার বহলবাড়ীয়া গড়াই নদী সংলগ্ন বাধের ফাটল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা জানান।