বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

বৈষ্যমবিরোধী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ

আলোর মুখ দেখলো উল্লাপাড়ার প্রথম শহীদ মিনার

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

আলোর মুখ দেখলো উল্লাপাড়ার প্রথম শহীদ  মিনার

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দীর্ঘদিন পরে আলোর মুখ দেখলো উল্লাপাড়া রেলস্টেশন এলাকায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রথম নির্মিত শহীদ মিনার। বগুড়া-নগর বাড়ি মহাসড়কের পাশে উল্লাপাড়া আরএস ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এই শহীদ মিনারটি ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের পরিচালক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ মির্জা, বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ  আলম, আব্দুস ছামাদ, ইফতেখার মবিন পান্নাসহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার উদ্যোগে এই মিনারটি তৈরি করা হয়। কিন্তু এটি মহাসড়কের পাশে ব্যক্তিগত জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় প্রথম কয়েকবছর মহান শহীদ দিবসে এখানে ফুল দেওয়া হলেও পরবর্তীতে এই মিনারটি সবার দৃষ্টির বাইরে পড়ে যায়। অযত্নে অবহেলায় গাছপালা, লতাগুল্মে ছেয়ে যায় পুরো শহীদ মিনার চত্বর। বিগত ৫২ বছরে দু’একবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এটি পরিস্কার করা হলেও যথাযথ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে এটি আবারো জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এখানে শহীদ দিবসে বা অন্য কোন দিনে কোন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম জানান, স্বাধীনতার পর উল্লাপাড়ায় প্রথম এই শহীদ মিনারটি তারা নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু এটি ব্যক্তিগত জায়গায় হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এর রক্ষনাবেক্ষণ বা এখানে সার্বজনীন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। বছরের পর বছর জঙ্গলে আবৃত থেকে মিনারগুলো আলোর মুখ দেখেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়কদের নেতৃত্বে উল্লাপাড়ার আরএস ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকার অপর শিক্ষার্থীরা মিলে দু’দিন ধরে উক্ত শহীদ মিনার চত্বরটি জঙ্গল পরিস্কার শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই এটি দীর্ঘ দিন পরে আবারো আলোর মুখ দেখতে পেরেছে। তাদের এই সুন্দর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এলাকাবাসী।

শহীদ মিনার পরিস্কার কাজে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ, শিশির হোসেন, শিমুল হোসেনসহ শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেদের উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলে আবৃত শহীদ মিনারটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছেন। এটিকে রং করে নান্দনিক করা হবে। সেই সাথে তারা তাদের সাম্প্রতিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং আগামীর সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাদের চিন্তা চেতনা গ্রাফিটির মাধ্যমে উপস্থাপন করার ব্যবস্থা নেবে।

সেই সাথে পরবর্তী সময়ে এখানে যাতে শহীদ দিবসে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চান এই শিক্ষার্থীরা।
 

আরবি/জেডআর

Link copied!