ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বোচ্চ দরদাতা পায়নি ইজারা সরকার হারিয়েছে মোটা অংকের রাজস্ব

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম

সর্বোচ্চ দরদাতা পায়নি ইজারা সরকার হারিয়েছে মোটা অংকের রাজস্ব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

স্পষ্ট কোটেশনে সবোর্চ্চ দরদাতাকে দেওয়া হয়নি ইজারা। টেন্ডার মূল্যায়নে কারসাজির মাধ্যমে সর্বনিন্ম দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে সরকারি হারিয়েছে মোটা অংকের টাকার রাজস্ব। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে সবোর্চ্চ দরদাতা হয়েও ইজারা না পাওয়া ভুক্তভোগী নাজমুল হক অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল রাজ্জাক টেন্ডার মূল্যায়নে কারসাজি করে সর্বনিন্ম দরদাতাকে ইজারা দিয়েছেন।

নাজমুল হক আরও জানান, বরিশাল নদী বন্দরের আওতাধীন রকেটঘাট সংলগ্ন কাঁচা বাজার রোড চার্জ পয়েন্টের ইজারা আদায়ের জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর স্পষ্ট কোটেশন রেটে দরপত্র আহবান করা হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্পষ্ট কোটেশন দরপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ছিলো। স্পষ্ট কোটেশনে পাঁচজন দরদাতা অংশগ্রহণ করেন। ওইদিন টেন্ডার কমিটির নেতৃবৃন্দরা সকলের উপস্থিতিতে কোটেশনে সর্বোচ্চ দরদাতাকে ইজারা আদায়ের জন্য অনুমতি দেওয়ার কথা থাকলেও সম্পূর্ণ কারসাজির মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা নাজমুল হককে ৯০ হাজার টাকায় ইজারা না দিয়ে সর্বনিন্ম দরদাতা আবুল কালামকে ৬২ হাজার টাকায় ইজারা আদায়ের অনুমতি দিয়েছে।

নাজমুল হক বলেন, বন্দর কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বন্দর কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সর্বনিন্ম দরদাতাকে ইজারা দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি (নাজমুল হক) উল্লেখ করেন।

অভিযোগের ব্যাপারে বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নাম্বারটি বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, স্পষ্ট কোটেশন টেন্ডারের বিষয়টি বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা দেখেন। নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা পাবেন। সেখানে কোন অনিয়ম হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!