ঢাকা সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কোটি টাকার সম্পদের মালিক সওজের অফিস সহকারীর স্ত্রী

আফ্রিদি আহাম্মেদ, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম

কোটি টাকার সম্পদের মালিক সওজের অফিস সহকারীর স্ত্রী

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অফিসের অফিস সহকারী কাম-মুদ্রাক্ষরিক সফিউদ্দিনের (সফিক) স্ত্রী শাহনাজ বেগমের নামে শহরে দামি দুটি ফ্লাটের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার মূল্য প্রায় কোটি টাকা ।

জানা গেছে, দুদকের হাত থেকে বাঁচতে দুর্নীতির টাকায় সম্পত্তি গড়েছেন স্ত্রী শাহনাজ বেগমের নামে। সওজে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বনে গেছেন কোটিপতি। এ যেনো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।

অনুসন্ধানে যানা যায়, সফিউদ্দিন সওজে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ ও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। আওয়ামী লীগের নেতাদের ছত্রছায়ায় নিজের অফিসে একক আধিপত্য বিস্তার করে। ঠিকাদার ও অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফাইল আটকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। সেই টাকা দিয়ে গড়েছেন নিজের স্ত্রী শাহানাজ বেগমের নামে মানিকগঞ্জ শহরে হক নাহার প্লাজা-২ এর ষষ্ঠ তলায় একটি ও ধলেশ্বরী হাউজিং লিমিটেডের ডি, এইচ, এল টাওয়ার ২ এর নবম তলায় একটি করে মোট দুটি ফ্লাট ক্রয় করেছেন তিনি।

ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছিলেন বাংলাদেশর ব্যয়বহুল বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ডিপার্টমেন্টে। কিনে দিয়েছেন বাজাজ কোম্পানির পালসার ১৬০ সিসি বাইক, এই মোটরসাইকেল দিয়ে মানিকগঞ্জ শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সফিউদ্দিনের ছেলে জয়। নিজের স্ত্রীকে দিয়েছেন ভরি ভরি স্বর্ণের গহনা। মানিকগঞ্জ শালুক মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি এনজিওতে রয়েছে তার স্ত্রী শাহানাজ বেগমের নামে ৭টি ডিপোজিট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, তিনি খুব স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করেন। কিন্তু তার স্ত্রী শাহানাজ বেগম ও তার ছেলে শাহীদুল ইসলাম জয়ের চলাফের দেখেই বুঝা যায় তারা কোটি টাকার মালিক। তাদের চলাফেরায় রাজকীয় ভাব দেখা যায়।

জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ সওজের কাম-মুদ্রাক্ষরিক সফিউদ্দিন কোনো বক্তব্য না দিয়ে, চেয়ার থেকে উঠে তার কক্ষ ত্যাগ করেন।

সওজের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম বলেন, বেতনের বাইরে আমার অফিসে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। তার সম্পদের যে বিষয়টি সেটি তার ব্যক্তিগত, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।

মানিকগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আজিজ উল্লাহ বলেন, যদি এরকম কোনো অভিযোগ আসে, তাহলে তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখমুখি করা হবে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!