জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, একই পণ্য নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আলাদা আলাদা বিভাগ আলাদা রকমের রিপোর্ট দেওয়ার কারণে দেশীয় উৎপাদনের সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। তখন আমদানীও ঠিকমত হয় না। এর ফলে বাজারে পণ্যের সংকট হয় এবং দাম বেড়ে যায়।
রোববার সকালে রাজশাহী বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন করে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রাজশাহী বিভাগ।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘খাদ্যের ক্রাইসিস হয় তখন, যখন ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের ভারসাম্য থাকে না। আলু নিয়ে দেখেছি কৃষির তিনটা বিভাগ তিন রকমের তথ্য দিয়েছে। মিনিস্ট্রিতে একটা আলাপে দেখেছি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটার সঙ্গে কৃষি বিপনণের তথ্যের মিল নেই। এই দুটি অধিদপ্তরের সঙ্গে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তথ্যের মিল নেই। এটা দিয়েছে ঢাকার এসবি অফিস। এটা যদি হয়, আমরা বিপদে আছি।’
রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে তিনি বলেন, ‘ডিসি সাহেবকে বলব, আপনার জেলায় কৃষি বিভাগ বলেন, “আমি একটা রিপোর্ট চাই। সেটার ওপর আমরা রাজশাহী বিশ্বাস করব, অন্য রিপোর্ট চাই না।” কৃষি মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, আপনারা একটা অভিন্ন রিপোর্ট দেন যাতে করে আমরা এলসি খুলতে পারি। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই আমদানি হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটা পণ্য বিদেশ, ইউরোপ-আমেরিকা থেকে পণ্য আনতে গড়ে দুই-তিনমাস সময় লাগে। তাহলে আমরা চার-পাঁচ মাস আগে জানতে পারলে আমদানি করতে পারব। ক্রাইসিস মেমোন্টে জানলে ক্রাইসিস দূর হবে না। আমরা বর্তমানে সেই অবস্থায় পড়েছি।’
দ্রুত আমদানি করতে গিয়ে খারাপ পণ্য নিতে হয় জানিয়ে ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘ পেঁয়াজ আমদানির পর দেখা গেল অন থার্ড পেঁয়াজ নষ্ট। আমরা ক্রাইসিস মেইনটেন করার জন্য ওই পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছি। এই কারণে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল, তখন টু-থার্ডকে পুরো এক ধরে, একশোর মধ্যে ৩০ ভাগ নষ্ট হলেও তাকে আমরা একশো ধরে মূল্য নির্ধারণ করছি। পেঁয়াজের দুটো অংশ ছিল, একটা অংশ প্রায় ভেজা পেঁয়াজ আসতো। আমি নিজে হাত দিয়ে ধরে দেখেছি। এগুলো জনগণের জন্য পজিটিভ নয়।’
সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, ক্যাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি জামিল চৌধুরী, রাজশাহী জেলার সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুনসহ স্থানীয় অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :