বরগুনার আমতলী উপজেলায় চোরাই গরু সহ আন্ত:জেলা চোর চক্রের সদস্য আটক করেছে পুলিশ। আমতলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে এবং পাশ্ববর্তী জেলা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১৪টি গরু উদ্ধার করে। ২ ডিসেম্বর সকাল সড়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম খলিল প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত জানান।
আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের লুৎফর রহমানের ৪টি চুরি হয় গত ৩০ নভেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে। এ ঘটনায় লুৎফর রহমান বাদি হয়ে একটি চুরি মামলা করলে আমতলী থানা পুলিশ চোরাই গরু উদ্ধারে অভিযান চালায়। পরদিন ভোর রাত সাড়ে পাঁচটার সময় আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে লুৎফর রহমানের চুরি হয়ে যাওয়া চারটি গরু উদ্ধার করে। এসময় আন্ত:জেলা চোর চক্রের সদস্য লিটন ঢালী নামে একজন চোর গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি পটুয়াখালীর বোতলবুনিয়া নন্দীপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম সামছু ঢালী। তার বিরুদ্ধে বরিশাল সহ বিভিন্ন জায়গায় চুরি মামলা রয়েছ।
গ্রেপ্তার হওয়া চোরকে জিজ্ঞেসাবাদ করে আমতলী থানা ও পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামীর দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে আরোও ১০ টি চোরাই গরু উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ১৪টি চোরাই গরুর বাজার মূল্য অনুমান ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা। গ্রেপ্তারকৃত আসামি আন্ত:জেলা গরু চোর দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায় এবং তার বিরুদ্ধে বরগুনাসহ অন্যান্য জেলায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে, সে প্রেক্ষিতে আমতলী থানা এলাকায় চেকপোস্টসহ টহল নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মো. লুৎফর হাওলাদার (৭০) অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলার আমতলী থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বরগুনা জেলার মতলী থানার মামলা নং-০২, জিআর-২২৪/২০২৪, তাং-০১/১২/২৪, ধারা- ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড রূজু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :