ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

যশোরে এলাচের কেজিতে বেড়েছে হাজার টাকা

রিপন হোসেন, যশোর

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম

যশোরে এলাচের কেজিতে বেড়েছে হাজার টাকা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

যশোরে বেড়েছে এলাচ, লবঙ্গ, ডালচিনিসহ বিভিন্ন মসলার দাম। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি এলাচে বেড়েছে ১ হাজার টাকা। আর লবঙ্গে ১০০ টাকা। ব্যবসায়িরা বলছেন, ডলার সংকট, এলসি জটিলতার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণে বেড়ে মসলার দাম। এভাবে দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তারা বছলেন, বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়ায় ব্যবসায়িরা। এজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি তাদের। রান্না সুস্বাদু করতে মশলার জুড়ি নেই। সুগন্ধিযুক্ত মসলা এলাচ খাবারে স্বাদ বাড়ায়। এ ছাড়া ওষুধ তৈরিতে এর ব্যবহার রয়েছে। এ মসলার নানা গুণ থাকায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এর কদর বেড়েছে। মসলার রানী এলাচ। মসলার বাজার গরম করেছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১ হাজার টাকা। ২৮শ’ টাকার এলাচ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৮শ’ টাকা।

এছাড়া ১২শ’ টাকার লবঙ্গ ১৩শ’ টাকা, ৩৯০ টাকার ডালচিনি ৪১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর ৫০ টাকা কেজিতে বেড়ে হলুদ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। ব্যবসায়িরা বলছেন, ডলার সংকট, এলসি জটিলতার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণে বেড়ে মসলার দাম। 

যশোর শহরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী মহাসীন আলী বলেন, বর্তমানে বাজারে এলাচের সর্বনিম্ন দাম ৩৮শ’ টাকা। আর সর্বচ্চ ৪২শ’ টাকা। এতে করে আমাদের এলাচসহ মসলা বিক্রি অনেক কমে গেছে। যশোর শহরের বড় বাজার এলাকার রিকসাচালক মোহাম্মদ মহাসিন। বাজারে এসেছেন এলাচ কিনতে। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক দোকান ঘুরে প্রযোজনের তুলনায় অর্ধেক এলাচ ক্রয় করে বাড়ি ফিরছেন।

বলেন, মসলাসহ প্রতিটা জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে। তাই বর্তমান সরকারি কাছে দাবি এসব পণ্যর দাম কমাতে পদক্ষেপ নিতে। শুধু মহাসিন নয়; একই অবস্থা মসলা বাজারে আসা শাহাজান, ইদ্রিস, ওলিয়ার রহমানদের। তাই মসলাসহ নিত্যপণ্যর বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত বাজার মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি তাদের।

খুচরা ব্যবসায়ি কামাল হোসেন বলেন, মসলার দাম বাড়ার কারণে তাদের বিকিকিনিও অনেক কমে গেছে। বাজারে মসলার সরবরাহও অনেক কম রয়েছে। এতে করে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।

ডলার সংকট ও এলসি জটিলতার কারণে মসলার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা বলেন, মসলাসহ নিত্যপণ্যর বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা বিভিন্ন
পদক্ষেপ নিয়েছে। নিয়মিত করছেন বাজার তদারকি।

যশোর জেলায় মশলার চহিদা রয়েছে ১৬ হাজার ৪২৫ মেট্রিক টন। যার অর্ধেকেরও বেশি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এমন দাবি ভোক্তাদের।

আরবি/জেডআর

Link copied!