বগুড়ার আদমদীঘি সদরে বিএনপি ও সান্তাহার যুবদল অফিসে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত পৃথক দুটি নাশকতা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, যুবলীগ নেতাসহ সাত শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। গত রোববার রাতে ঢাকার
মিরপুর সেনানিবাস এলাকার একটি ফ্লাটবাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও গোড়গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুল হুদা খন্দকার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পুর্ব
ছাতনী গ্রামের এরশাদুল হক টুলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ছোট আখিড়া গ্রামের আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল হক আবু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডহরপুর গ্রামের সুমিনুল
ইসলাম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কুন্দগ্রামের শামিম উল ইসলাম, আমদীঘি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তালশন
গ্রামের জিল্লুর রহমান, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সম্পাদক ও শিয়ালশন গ্রামের একরাম হোসেন।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ৪ আগস্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতাকর্মী ককটেল, পেট্রোল সাবল ও লাঠি সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত দলবদ্ধ হয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্ঠি করে বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিলা ও তারেক রহমানের ছবিতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান বাদি হয়ে গত ২৫ আগস্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫০জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া গত ১৯ আগষ্ট দিবাগত রাতে সান্তাহার পৌরসভার চায়নার মোড় নামক স্থানে যুবদল অফিসে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত পৃথক দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত উল্লেখিত আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :