ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল, রুম খালি নেই হোটেল-মোটেলে

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,  কক্সবাজার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম

কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল, রুম খালি নেই হোটেল-মোটেলে

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার এখন সরগরম হয়ে উঠেছে। পর্যটকে ভরে গেছে সৈকতের শহর। সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা চার দিনের সুযোগে দেশের নানা প্রান্তের ভ্রমণকারীরা ছুটে এসেছে কক্সবাজারে। সাগর পাড়ের হোটেল মোটেলে যেন ঠাঁই নেই। পর্যটকদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। ছুটির দিনসহ সারাবছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভ্রমণপিপাসু মানুষের পছন্দের শীর্ষে থাকে কক্সবাজার। এখন শীতের মাঝামাঝি সময়, পর্যটনের ভরা মৌসুম। ভ্রমণ পিপাসু মানুষের প্রথম পছন্দ ও আকর্ষণ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।

এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার। সাপ্তাহিক ছুটি ও ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেমেছে পর্যটকের ঢল। এতদিন কিছুটা পর্যটকের ভাটা থাকলেও ডিসেম্বর মাসে পর্যটক বেড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এই লম্বা ছুটি কাটাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসেছে। কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, লাবনী ও কলাতলী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকের মেলা। দেশি বিদেশি পর্যটকেরা আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে সৈকতে এসে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। পর্যটনকে কেন্দ্র করে সৈকতে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নানা বয়সীরা পর্যটকেরা বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার টায়ার টিউবে গা ভাসানো ও নোনা জলে গোসলে নেমেছেন। প্রিয়জনেরা এসব দৃশ্য মোবাইল ও ক্যামেরায় ধারণ করছেন।

সৈকত কেন্দ্রীক ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটক বাড়ায়, বেচা বিক্রি বেড়েছে। কিটকট চেয়ার, বীচ বাইক, ওয়াটার বাইক, শামুক ঝিনুক, ফিশ ফ্রাইসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা খুশি। পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলের কোনো রুম খালি নেই বলে জানা গেছে। রুম না পেয়ে অনেক পর্যটককে ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে যত্রতত্র ঘুরতেও দেখা গেছে। আশানুরূপ পর্যটক আসায় এবারের ছুটিতে শতকোটি টাকার বেশি ব্যবসার আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। 

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, গত শুক্রবার থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস রিসোর্ট কোথাও কোনো রুম খালি নেই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় যাতে না হয় ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম জানিয়েছেন, কয়েক লাখ পর্যটকের নিরাপত্তা, সমুদ্রে নিরাপদে গোসলসহ চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে মাঠে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।

দীর্ঘ ছুটিতেই পর্যটকের চাপ একটু বেশি থাকে। এসব বিবেচনায় নিয়ে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে। কক্সবাজারে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ বিরাজমান। তাই নির্বিঘ্নে দেশ বিদেশের পর্য়টকরা স্বাচ্ছন্দে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

আরবি/জেডআর

Link copied!