শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সৈয়দ পান্না, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম

খেজুরের গুড়ের ঘ্রাণে গাছিরা ভুলে যান তার ঘাম ঝরানো কষ্ট

সৈয়দ পান্না, সাতক্ষীরা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম

খেজুরের গুড়ের ঘ্রাণে গাছিরা ভুলে যান তার ঘাম ঝরানো কষ্ট

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

খেজুরের রস ও গুড় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, আর তা দিয়ে বানানো পায়েস ও নানা ধরনের পিঠা পুলি। গাছ কেটে একফোটা রস বের করতে যে ঘাম ঝরে তার মূল্য সহজে উঠে না। কিন্তু রস জ্বালিয়ে গুড় হলেই তার ঘ্রাণে কৃষক ভুলে যায় সেই ঘামের কষ্ট। নতুন প্রজন্মের কৃষকরা কষ্টের কারণে খেজুর গাছ কাটতে চায়না ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে খেজুরের রস। তবে এলাকায় ব্যাপক চাহিদা থাকায় বয়স্ক গাছিরা এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমেই দেখা মেলে এই খেজুর রসের পায়েস আরপিঠা-পুলি। তাই এখন ভরা মৌসুমে খেজুরের রস পেতে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরা গাছিরা।

সাতক্ষীরা তালা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে, খেজুরের রস আহরণ শুরু করেছেন ৬০ বছর বয়সের কৃষক ইউনুস মিয়া। তিনি নিয়মিতভাবে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তার দু‍‍`পাশে সারিবদ্ধ খেজুরগাছ। জমির আইলে ও পতিত জায়গায়ও রয়েছে অসংখ্য খেজুর গাছ। বিশেষ করে উপজেলার সুজন শাহ, ইসলাম কাটি, নারায়ণপুর, উথুলিয়া কাজিরাঙ্গা, ভবানীপুর, মাঝিয়ারা গ্রাম ঘুরে দেখা মেলে এ দৃশ্য। গাছিরা প্রথমে গাছের মাথা থেকে ডালপালা কেটে পরিষ্কার করেন। পরে নির্দিষ্ট স্থান হালকা করে কেটে পরিষ্কার করেন। এর কিছুদিন বিরতির পর গাছের পরিষ্কার করা অংশ শুকিয়ে নিয়ে আবার কয়েক দফায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেঁটে ফেলা হয় গাছের ছাল। গাছ কাটার এ কাজে গাছিরা ধারাল অস্ত্র ব্যবহার করেন। গাছ কাটার সময় খেজুর গাছের সঙ্গে নিজেদের শক্তভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে নেন তারা। তাদের কোমরে থাকে বাঁশের তৈরি ঠোঙা (স্থানীয় ভাষায়) যার ভেতর থাকে গাছ পরিষ্কার করার দাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। গাছ তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর থেকেই মূলত রস নামানোর পর্বটা শুরু হয়। এরপর গাছের মাথার নির্দিষ্ট স্থানে পাত্রের ভেতর রস পড়ার জন্য বাঁশের তৈরি একটি নলি ও দুপাশে দুটি চোখা বা খুঁটি পোতা হয় যার সঙ্গে রস সংগ্রহের পাত্র ঝুলিয়ে রাখা হয়। এভাবেই গাছির নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফোটায় ফোটায় ঝরে খেজুরের রস। তারা আরও জানান, সপ্তাহের নির্ধারিত দিন বিকেলে গাছের মাথা হালকাভাবে ছেঁটে নির্ধারিত স্থানে মাটির পাত্র ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন ভোরে গাছ থেকে পাত্র নামিয়ে আনা হয়। গাছভেদে দুই থেকে চার কেজি হারে রস পাওয়া যায়, যা থেকে এক থেকে দেড় কেজি গুড় হয়। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন পরপর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। রস জ্বালিয়ে গুড় বানাতেও কৃষকদের ভোগান্তি কম নয়। কারণ খেজুর গাছের ডাল ও অন্যান্য খড়ি সংগ্রহ করে এ রস থেকে গুড় বানাতে হয়। কাঁচা রস এক ভাড় অর্থাৎ ২ কেজি ১৫০থেকে ২০০ টাকায় এবং এক কেজি গুড় বাজারে বর্তমান ৩০০থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়। সপ্তাহে প্রতিদিন তাদের গাছ পরিচর্যা ও রস সংগ্রহে ব্যস্ত থাকেন গাছীরা।

আরবি/জেডআর

Link copied!