লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে লাল মিয়ার বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ একটি জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ঘরে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে কখন যে ঘরটি ভেঙ্গে পড়বে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বছরের পর বছর পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাসকারী লালমিয়া পেশায় দিনমজুর। অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি মেরামত করতে পারছেন না। ঘরের টিনের চালে মরিচা পরে কিছু জায়গায় ছিদ্র হয়ে গেছে। বেড়ার টিন, কাঠ, টিনের দরজা ও জানালাও জরাজীর্ণ। ভেঙে পড়তে পারে যেকোনো সময়।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে এমন করুণ চিত্র দেখা যায় কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশীরাম মুন্সির বাজার গ্রামের আব্দুল কাশেমের ছেলে লাল মিয়া বাড়িতে গিয়ে। থাকার মত একমাত্র ঘরটি জরাজীর্ণ। বৃষ্টির পানি ও শীতের কুয়াশা ঠেকাতে টিনের চালের নিচে পলিথিন টাঙিয়েছেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান সহ এভাবে কষ্টে বসবাস করছে লাল মিয়া।
কাশীরাম গ্রামের বাসিন্দা ফজলু মিয়া বলেন, মেরামতের অভাবে ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টি এলেই ঘরের ভেতরে পানি পড়ে তার উপর তো শীতের দিন এখন খুব কষ্টে মানবতার জীবন যাপন করছে লাল মিয়া ও তার পরিবার।
আর্থিক সংকটে নিজ উদ্যোগে ঘর মেরামত করতে পারছেন না দিনমজুর লাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়ে। পলিথিন টানাইছি, তাতেও কাজ হয় না। বর্ষাকালে টিনের চালের ছিদ্র দিয়ে পানি পরে। আর সূর্য উঠলে তা টিনের চালের ফাঁক দিয়ে দেখা যায়। কেউ যদি আমার দিকে একটু নজর দিত তাহলে ঘর মেরামত সহ পরিবার নিয়ে নিরাপদে বসবাস করতে পারতাম।
স্থানীয় টিটুল ইসলাম বলেন, সবার কপালে সরকারি ঘর জুটলেও লাল মিয়ার মত দিনমজুরের কপালে জোটেনি সরকারি ঘর। তার দিকে যদি সরকার একটু নজরদিত তাহলে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে বসবাস করতে পারবে।
দিনমজুর লাল মিয়ার ভোগান্তির বিষয়ে তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আফজালুর রশিদ বুলু বলেন, বৃষ্টি এলেই ঘরের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে। লালমিয়া একেবারেই হতদরিদ্র। নুন আনতে পান্তা ফুরানো অবস্থা তার। অর্থের অভাবে ঘরটি মেরামত করতে করতে পারছে না।
তাই সরকারি অনুদানে ঘরটি মেরামত করা গেলে দুর্ভোগ কমবে বলে জানান তিনি। লাল মিয়া ও তার পরিবার, সরকারের কাছে তার ঘরটি মেরামতের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :