১৬ দিন আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান গোলাপী সরকার। মহাশ্মশানের সমাধিস্থলে তাকে দাফন করা হয়। সেখানকার মাটি খুঁড়ে লাশের মাথা কেটে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। কথিত কবিরাজরা তন্ত্রবিদ্যার কাজে ব্যবহার করার জন্য মাথা নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের উত্তর বাহিনীর মহাশ্মশানে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে। মৃত নারীর নাম গোলাপী সরকার (৫৩)। তিনি শেরপুর উত্তর সাহাপাড়া লক্ষীতলা এলাকার সুরেশ সরকারের স্ত্রী। মহাশ্মশান থেকে মাথা উধাও ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ছেলে রঞ্জিত সরকার। জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিসহ ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
রোববার শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাশ্মশান সমাধিস্থলে মাটি খুঁড়ে মৃত নারীর মাথা নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরদিন শুক্রবার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জড়িতদের সনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ১৬ দিন আগে গোলাপী সরকার অসুস্থতা জনিত কারণে মারা গেলে মহাশ্মশানের সমাধিস্থলে তাকে দাফন করা হয়। গত শুক্রবার সকালে সমাধিস্থলে সুরঙ্গ দেখতে পান শ্মশানের কেয়ারটেকার প্রমোদ সরকার। সুরঙ্গ দিয়ে দেখেন মৃতদেহে মাথা নেই। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন মহল্লার নারী-পুরুষ সমাধিস্থলে ভিড় করেন।
মৃত নারীর স্বামী সুরেশ সরকার বলেন, স্ত্রী গোলাপী সরকার মারা গেলে তাকে দাফন করেন। শ্মশানের কেয়ারটেকার সুরঙ্গের বিষয়টি জানানোর পরই পরিবারের সদস্যরা সেখানে যান। গত ৭ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা মাটি খুঁড়ে সুরঙ্গ করে মৃতদেহের মাথা নিয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :