ঢাকা রবিবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৪

কিশোরগঞ্জে মারা গেল জোড়া মাথার শিশু

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম

কিশোরগঞ্জে মারা গেল জোড়া মাথার শিশু

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জে করিমগঞ্জের দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি অলিউল্লাহর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারে গর্ভে জন্ম নেওয়া আলোচিত জোড়া মাথার শিশুটি মারা গেছে।

শুক্রবার (০১ নভেম্বর) রাত ১০টায় জেলা শহরের পুরানথানা পপুলার মাল্টিকেয়ার হাসপাতাল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে শিশুটির জন্ম হয়েছিল। অবস্থা জটিল হওয়ায় রাত সাড়ে ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিব ঘোষ পরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

পপুলার হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই সুমাইয়া আক্তার ৩৮ সপ্তাহের গর্ভবতী অবস্থায় শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হোন। পরে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রাত ১০টায় সিজার করেন ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিশেষজ্ঞ মোবাররা জাকারিয়া চৈতী। পরে জন্ম হয় এই জোড়া মাথার শিশুর। শিশুটির মাথা দুটি হলেও শরীর একটি, হাত-পা দুটি করে। দুটি মুখের একটির ওপরের ঠোট কাটা ছিল। শিশুটি জন্মের পর শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতার কারণে কিছুক্ষণ অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। কিছুটা স্বাভাবিক হলে পাঠানো হয় সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার আগেই শিশুটি মারা যায়।

সৈয়দ নজরুল হাসপাতালের পরিচালক হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ডিম্বাণু-শুক্রাণুর জিনগত সমস্যার কারণে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। তবে শিশুটি বেঁচে থাকলেও এখানে অস্ত্রোপচারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকায় পাঠানো হতো।

তিনি জানান, প্রত্যেক প্রসূতির গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের মধ্যে একটা ‘অ্যানোমেলি টেস্ট’ (অসঙ্গতি পরীক্ষা) করানো উচিত। এ ধরনের জটিল সমস্যা দেখা দিলে সচেতন অভিভাবকরা গর্ভপাত করিয়ে ফেলেন। কারণ, এ ধরনের শিশু বাঁচিয়ে রাখা যেমন কঠিন, আবার বাঁচলেও শিশু এবং পরিবারের সারাজীবন ভোগান্তি পোহাতে হয়। এর অস্ত্রোপচারও অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

আরবি/জেডআর

Link copied!