বগুড়া: বগুড়ায় সনাতন সম্প্রদায়ের একটি পরিবারে চাঁদাবাজির খবরে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে রাকিব হোসেন (২৪) নামের যুবক নিহত ও ছুরিকাঘাতে একজন আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে একজনকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নিতাই চন্দ্র (২৬) কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের শিবা-কলমা হিন্দুপাড়ার লঙ্কেশ্বর চন্দ্রের পুত্র। এর আগে শনিবার রাতে কাহালু থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন শিবা-কলমা গ্রামের বাসিন্দা ফনিন্দ্রনাথ সরকার। রোববার রাতে নিতাই চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) শিবা-কলমা এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত রাকিব হোসেনের বোন শামসুন্নাহার বাদী হয়ে রোববার রাতে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান শাহীন।
নিহত রাকিব হোসেন কাহালুর জামগ্রাম ইউনিয়নের পরিশেষ পূর্বপাড়ার মৃত শামসুল হকের ছেলে। ছুরিকাঘাতে আহত সখা চন্দ্র সরকার শিবা কলমা হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কাহালু থানার ইন্সপেক্টর (ইনভেস্টিগেশন) আশরাফুল আলম জানান, শুক্রবার রাতে শিবাকলমা গ্রামে চাঁদাবাজির খবরে উত্তেজিত জনতার ধাওয়া এবং গণপিটুনিতে নিহত রাকিব হোসেনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফনিন্দ্রনাথের পরিবারের অভিযোগ, নিহত রাকিব স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আতা বাহিনীর সদস্য। ঘটনার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাকিব তার সহযোগীদের নিয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের ফনিন্দ্রনাথের বাড়িতে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। ফনিন্দ্রনাথকে মারপিট করাসহ বসতবাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরিবারের লোকজনের চিৎকারে পাশের বাড়ির সখা চন্দ্র এগিয়ে গেলে চাঁদাবাজরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন চাঁদাবাজদের ধাওয়া করলে পালানোর সময় রাকিব জনতার হাতে ধরা পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :