বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম

বাসাইলে জলবদ্ধতার কারণে ফসল আবাদে অনিশ্চিয়তা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম

বাসাইলে জলবদ্ধতার কারণে ফসল আবাদে অনিশ্চিয়তা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলের বাসাইলে কয়েকটি এলাকায় ফসলি মাঠে জলবদ্ধতার কারণে ফসল আবাদ অনিশ্চয়তার মুখে পরেছে, ফসল আবাদ করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পরেছে ওই এলাকার কয়েকশত কৃষক। বর্ষার সময় আমনের আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে, এবার সরিষার আবাদও হচ্ছে না। বোরো আবাদেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সাধারণ কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণের কারণে গত বর্ষায় পানি প্রবেশ করে এসব এলাকায়। পরে পানি বের হতে পারেনি। এসব পানিই পরে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করে। এতে প্রায় দুই হাজার একর ফসলি জমি অনাবাদি পড়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাসাইল পৌর এলাকার আন্দিরা পাড়া, এসআর পাড়া, পালপাড়া, বালিনাসহ কয়েকটি গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় এবার বিশাল জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত বর্ষায় ঝিনাই নদীর বাঁধ ভেঙে এখানে পানি প্রবেশ করে। অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণের কারণে পানি বের হতে পারেনি। এসব এলাকায় প্রচুর সরিষার আবাদ হয়। পানি থাকায় এবার সরিষার আবাদ করা সম্ভব হয়নি। বোরোর বীজতলা বপন করতে পারেনি এলাকার কৃষকরা। এখনও এ এলাকায় কিছু কিছু জমিতে কোমড় পর্যন্ত পানি রয়েছে । এসব জমিতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী একজন কৃষক শ্যামাচরণ রাজবংশী জানায়, গত বর্ষায় নদীর বাঁধ  ভেঙ্গে এখানে পানি প্রবেশ করে, বর্ষা চলে গেলেও পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পানিগুলো জমে থাকে এবং জমিগুলো অনাবাদি হয়ে যায়।

আরেকজন কৃষক গৌতম চন্দ্র রাজবংশী জানায়, এই মাঠে তার কয়েক বিঘা জমি রয়েছে, বর্ষার সময় আমনের আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে এখন সরিষার আবাদও করতে পারছে না। তার জমিতে এখনো কোমর পর্যন্ত পানি রয়েছে। সামনে বোরো ধানের আবাদও করা নিয়ে সংশয়।

স্থানীয় কৃষক জমির আলী জানায়, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। ফসলি মাঠে আবাদের ব্যবস্থা না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এলাকার ৮০০ থেকে ৯০০ কৃষক।  সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হলে কর্মহীন এই কৃষকদের দুর্দশার শেষ থাকবেনা।

স্থানীয় যুবক রামচন্দ্র রাজবংশী জানায়, অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা তৈরীর কারণে এবং রাস্তার মাঝে কোন কালভার্ট অথবা ব্রিজ না থাকায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এই দলবদ্ধতা নিষ্কাশন করতে চাইলে রাস্তাগুলোর মাঝে কালভার্ট অথবা ব্রিজ নির্মাণ খুবই জরুরী।

কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়ার কথা বলছে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শাহজাহান আলী।

আরবি/জেডআর

Link copied!