বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

তালতলীতে ঢিমেতালে চলছে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সেবা

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

তালতলীতে ঢিমেতালে চলছে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সেবা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছে বরগুনার তালতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। মাঝেমধ্যে তারা প্রকাশ্যে এলেও বেশিভাগ সময় লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন। ফলে ঢিমেতালে চলছে পরিষদের কার্যক্রম। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

তালতলী উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের ৫ টিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত। গত ৫ আগষ্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে আত্মগোপনে যায় ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অধিকাংশ সদস্যরা। তাদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোটবগী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক  তৌফিকুজ্জামান তনু এলাকা ছেড়ে ঢাকায় আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে এই ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দারা পরিষদে মাসের পর মাস ধরে ঘুরেও পাচ্ছেন না সেবা। যদিও প্যানেল চেয়ারম্যানের কবির হাওলাদারের মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। তিনি বলেন এখন থেকে আগের তুলনায় নাগরিক সেবা অনেক স্বাভাবিক রয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলার নিয়মিতভাবে সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র নির্বাচিত বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ ও শারিকখালী ইউপিতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নেতা,  হাত পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারুক খান তাদের কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত আছেন ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার বড়বগী, কড়ইবাড়িয়া, নিশানবাড়িয়া ও পঁচাকোরালিয়া চেয়ারম্যানরা প্রথম দিকে গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও এখন তারা মাঝেমধ্যে পরিষদে এবং ব্যক্তিগত কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে নাগরিক সেবা প্রদান করছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া উপজেলা আ‍‍`লীগের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক ও বড়বগী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মুন্সী, উপজেলা আ‍‍`লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, জেলা যুবলীগের সদস্য ও নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া, উপজেলা আ‍‍`লীগের সাবেক সদস্য ও কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম সিকদার পনু মাঝেমধ্যে ইউপিতে উপস্থিত থাকলেও বেশি সময় আত্মগোপনে থাকেন। বেশিরভাগ সময় তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। কেউ আবার নিজ বাসভবন থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন সেবাগ্রহিতারা। তারা বলছেন ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশ সনদপত্র, নাগরিক সনদপত্র, গ্রাম আদালত, জন্ম ও মৃত্যুসনদসহ সকল সেবা পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। অনেকেই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা না পেয়ে ফিরে আসছেন। এ নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বড়বগী ইউনিয়নের আবুল হোসেন,  মিজান, ফারুকসহ একাধিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ঠিকমত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের পাওয়া যায় না। সেবা না নিয়েই ফিরে আসতে হয়। এভাবে আর কত দিন ভোগান্তি পোহাতে হবে।

সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকন মামুন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় এইসব চেয়ারম্যান ও সদস্যারা প্রভাব খাটিয়ে নাগরিক সেবা দেয়নি। বর্তমানে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই সব আওয়ামী চেয়ারম্যানদের অপসারণ চাই।

উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা বলেন, নৌকা নিয়ে যে সব চেয়ারম্যান নিবার্চিত হয়েছেন তারা স্বৈরাচার হাসিনা’র দোসর। শেখ হাসিনার পতন হলেও এরা এখনো বহল তবিয়াতে রয়েছেন। তারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তাদের দ্রুত অপসারণ করে জনগনের ভোটে নিবার্চিত প্রতিনিধির দাবি করছি সরকারের কাছে।

উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক শহিদুল হক বলেন, নৌকা নিয়ে যে সকল চেয়ারম্যান হয়েছে তারা জনগনের সেবা দেয়নি। সকল সেবা ও ত্রান দলীয় লোকদের দিয়েছেন। এই সব চেয়ারম্যানদের সরিয়ে দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইব্রাহিম শিকদার বলেন, রাজনৈতিক পট পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে পরিষদে না গেলেও জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। বর্তমানে নাগরিক সেবা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও)  উম্মে সালমা বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরবি/জেডআর

Link copied!