ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

আত্মসাৎ করা হতদরিদ্র নারীদের টাকা উদ্ধার করলেন ইউএনও

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৪:১৬ পিএম

আত্মসাৎ করা হতদরিদ্র নারীদের টাকা উদ্ধার করলেন ইউএনও

গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার ও গ্রামপুলিশ কামরুল হাসান। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজশাহীর বাগমারায় গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার ও গ্রামপুলিশ সদস্য কামরুল হাসান হতদরিদ্র নারীদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ করেছিল। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে হতদরিদ্র মহিলাদের সঞ্চয়ের ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে সেই টাকা উদ্ধার করে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে ১৫৮ জন হতদরিদ্র মহিলাদের প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ওই সব হতদরিদ্র মহিলাদের কাছ থেকে মাসিক ২০০ টাকা করে সঞ্চয় নেওয়া হয়। সেই টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা করে ২৪ মাস পর তা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার ও গ্রাম পুলিশ সদস্য কামরুল হাসান সেই টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।

বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত গ্রামপুলিশ সদস্য কামরুল হাসানকে ইউপি কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাকে ইউএনওর কার্যালয়ে হাজির করা হয়। ইউএনও অভিযুক্ত গ্রামপুলিশ সদস্য কামরুল হাসানকে তাৎক্ষণিক সমুদয় টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন। অন্যথায় তাকে ছয় মাসের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে তারা টাকা ফেরত দিলে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের আলোকনগর শাখায় হতদরিদ্রের হিসাব নম্বরে জমা দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় তৎকালীন দায়িত্ব থাকা চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া যায় তার নম্বার। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে চেয়ারম্যান আলমগীর সরকারের গ্রামপুলিশ সদস্য কামরুল হাসান।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, জনগণের টাকা আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। এর আগে ঝিকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একই ঘটনা ঘটিয়েছিল। এবার সে গ্রামপুলিশ সদস্যের মাধ্যম একই ধরণের কাজ করেছে।

এ ব্যাপারে ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান ও চৌকিদার আমার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হতদরিদ্র উপকারভোগী মহিলাদের সকল টাকা জমা দেন। পরে ইউপি সচিবের সহযোগিতায় সেই টাকা উপকারভোগীদের ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!