ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪

আগৈলঝাড়ায় অপরিকল্পিত মাছ চাষে সড়কের পাড়ে ধস

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম

আগৈলঝাড়ায় অপরিকল্পিত মাছ চাষে সড়কের পাড়ে ধস

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দু’পাশে মাছের ঘের। বছরের পর বছর সড়কের সুরক্ষা নিশ্চিত না করে মাছ চাষ করে আসছে ঘের মালিকরা। ফলে সড়কের বিস্তীর্ণ অংশে ধস দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো অংশে সড়কটির অর্ধেক কিংবা তার অধিক বিলীন হয়ে গেছে ঘেরে। ফলে যাতায়াত, পণ্য পরিবহনসহ সামগ্রিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে সড়কটি ব্যবহার করা হাজার হাজার মানুষ ৷ কখনো কখনো গাড়ি উল্টে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ এবং মালামাল। সড়কের দুরবস্থার এই চিত্র আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা ২নং ওয়ার্ডের।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়নটির রাংতা এলাকা হতে চেংগুটিয়া সড়কের মাঝে বিশাল মাছের ঘের গড়ে তুলেছেন জি এম ফারুক হাসান। ঘেরের ক্ষেত্রে রাস্তার পাশে আলাদা বেড়ি করার নিয়ম থাকলেও তা মানেননি তারা। এলাকাবাসী অভিযোগ করার পর নেট দিয়ে দেন তারা তবুও ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়নি সড়কটি।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মহিবুল্লাহ জানিয়েছেন, আমাদের সড়কের অবস্থা আপনাদের চোখের সামনে।জরুর ভিত্তিতে সংস্কার না করলে সড়কের ভাঙ্গা অংশগুলো অচিরেই সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবে। তখন এলাকার হাজার হাজার মানুষ বর্ণনাতীত দুর্ভোগের শিকার হবেন। ঘেরের মালিকরা যেন শীঘ্রই সড়কটিকে পূর্বের রূপে ফিরিয়ে দেন৷ আপনাদের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে এই দাবি জানাচ্ছি।

রাংতা গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত নামে আরো একজন জানিয়েছেন, বিগত বছরে মাছের ঘের থেকে অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙ্গে মাছের ঘেরে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত মাছ মাটিতে আঘাতের মাধ্যমে মাটি ও রাস্তা ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

রাস্তার সুরক্ষায় ঘের মালিকরা কয়েকবার ব্যবস্থাগ্রহণ করেননি। রাস্তার ভাঙ্গা অংশ গাড়ি উল্টে মালামাল, পরিবহনের ক্ষয়ক্ষতি এবং মানুষ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সম্পূর্ণ রাস্তা ঘেরে বিলীন হয়ে যাবে।

মিজান জানিয়েছেন, আমাদের ক্ষতির কোনো শেষ নেই। মাছের ঘেরের কারণে আমাদের রাস্তা তছনছ হয়ে গেছে। মালামাল পরিবহন এবং যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘেরের মালিকরা আমাদের রাস্তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিক-এটাই আমাদের দাবি।

এ বিষয়ে জানতে ঘেরের মালিক জি এম ফারুক এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি আশ্বস্ত করছেন এই বর্ষার পরে তারা মাটি কেটে রাস্তা ঠিক করে দিবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি হস্তান্তর করেছি, পরে সে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন খুব দ্রুতই ঘেড় সেচ দিয়ে পেকু মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত পূর্ণাঙ্গভাবে মেরামত করে দেবে সানোয়ার, তবে আজও সে এখনো পর্যন্ত স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়নি, আমারও প্রত্যাশা, এলাকাবাসীর দাবি পূরণে আমি আমার স্থান থেকে দৃঢ় ভূমিকা পালনে চেষ্টা করবো।

আরবি/জেডআর

Link copied!