বগুড়ার আদমদীঘিতে বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত নাশকতা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী আদমদীঘি উপজেলা সদরের ইউপির সদস্য ফজলুল হককে জনতা আটক ও বেধড়ক মারপিট করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। গত রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় তাকে উপজেলার দিগড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ তাকে অসুস্থ অবস্থায় আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করান। গ্রেপ্তারকৃত ফজলুল হক আদমদীঘি সদর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ও কুসুম্বী গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগষ্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ককটেল, পেট্রোল সাবল ও লাঠি সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত দলবদ্ধ হয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্ঠি করে বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিলা ও তারেক রহমানের ছবিতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের মিজানুর রহমান বাদি হয়ে গত ২৫ আগস্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২৫০জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানবলী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ইউপি সদস্য ফজলুল হককে জনতা আটক ও মারধর করে পুলিশে সোর্পদ করেন।
মামলার তদন্তকারি আদমদীঘি থানার উপ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত রোববার সন্ধ্যায় আহত গ্রেপ্তারকৃত ফজলুল হককে আদমদীঘি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :