ঢাকা সোমবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৪

বগুড়ায় পুলিশের কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর তাগিদ

নজরুল ইসলাম দয়া, বগুড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

বগুড়ায় পুলিশের কার্যক্রমে  গতি বাড়ানোর তাগিদ

বগুড়া জেলা পুলিশের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষার মাঠ ক্যাম্পেইন পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা পিপিএম। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের অঘোষিত রাজতন্ত্র ধ্বংস ও শেখ হাসিনার পতনের দিন থেকে ঝিমিয়ে ছিল বগুড়ার পুলিশের কার্যক্রম। নবাগত পুলিশ সুপারের প্রচেষ্টায় জেলার ১২টি থানার কার্যক্রমে ফিরেছে পুরনো গতি। মাদকবিরোধী অভিযান, অস্ত্র উদ্ধার, শহরের যানজট নিরসন, সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাতে টহল দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশের সব ধরনের কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা পিপিএম। শুরু হয়েছে নিয়মিত অভিযান। গ্রেপ্তার হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ অপরাধীরা। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রমেও গতি ফিরেছে। মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়কে ছিনতাই-ডাকাতি ঠেকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সড়কে রাতভর টহল দিচ্ছে পুলিশ। মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পাশাপাশি অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে ছিনতাইকারী। অন্যদিকে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের অঘোষিত রাজতন্ত্রের পতনের পর বগুড়ার পুলিশের সেবা কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। পুরো জেলায় পুলিশের কার্যক্রমে ধীরগতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকটা ভেঙে পড়েছিল আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় স্বল্প পরিসরে কার্যক্রম শুরু করছিল পুলিশ। এরপর বগুড়া জেলায় আসেন নবাগত পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সাতদিনেই মাদকবিরোধী অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধারসহ পুলিশিং কার্যক্রম চাঙা হয়। শুরুতে কিছুটা সমস্যা হলেও বগুড়ার ১২টি থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।

জেলা পুলিশ সুত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের কার্যক্রমে গতি বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন পুলিশ সুপার। বিশেষ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার উপর জোর দেয়া হচ্ছে। গত সাতদিনে মাদকবিরোধী অভিযানে ৩৭০ বোতল ফেনসিডিল, সাড়ে ১৩ কেজি গাঁজা, ১০০ পিস ইয়াবা, ২৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিশেষ অভিযানে ১টি চাইনিজ রাইফেল ও ৫টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।

সোমবার বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা পিপিএম জানান, এক সপ্তাহে ১১টি সাজাসহ ২২৯টি ওয়ারেন্ট তামিল করা হয়েছে। মাদক উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক অপরাধী।

এর আগে গত শনিবার জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নতকরণ ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কৌশল নির্ধারণ করা হয়। অপরাধ পরিসংখ্যান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অপরাধ নিবারণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, মামলা রুজু-নিষ্পত্তি, গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলা সমূহের তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা। মামলা তদন্তের মান বৃদ্ধি করা, তদন্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেন পুলিশ সুপার। 

আরবি/জেডআর

Link copied!