কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের চাদনী বজরা গ্রামের ভ্যানচালক মোকলেছুর রহমান মোংলার বাড়ীতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোংলার মা সাহেরা বেগম (৮৫) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিহত বৃদ্ধা ওই এলাকার মৃত কায়ছার আলীর স্ত্রী। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত বারোটার দিকে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র ও ইউপি সদস্য এমদাদুল হক জানায়, শনিবার রাত বারোটার দিকে বাড়ীর পাশেই ওয়াজ মাহফিল চলছিল। বাড়ীর সবাই ওয়াজ শুনতে গেলেও ওই সময় ঘরে ছিলেন মোংলা ও তার মা প্যারালাইজড আক্রান্ত সাহেরা বেগম। এসময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে একটি ঘরে আগুন লাগে। আগুন দেখতে স্থানীয়রা এসে নেভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী আরও দুইটি ঘরে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে পার্শ্ববর্তী ঘরে থাকা মোংলা আহত হন ও মোংলার মা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। এতে তিনটি ঘর ও ঘরে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিস ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম এসে অগ্নিদগ্ধ নিহত সাহেরা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইউপি সদস্য এমদাদুল হক বলেন, ভ্যানচালক মোংলার বাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ঘর ও ঘরে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিস ও আসবাবপত্র পুড়ে অন্তত সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেব আসছেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব অফিসার আব্বাস আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটনাস্থল থেকে না জানিয়ে ভায়া হয়ে অন্য স্থান থেকে দেরীতে জানানো হয়েছে। এতে আরও বিলম্ব হয়েছে। পরে খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে এক ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধে নিহত বৃদ্ধার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :