ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮০ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮০ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম অভিযোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার শেরপুর সিমাবাড়ি ইউনিয়নের বেটখৈর উচ্চ বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের না-না দূর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জনতা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওই প্রধান শিক্ষকের পদত‍্যাগের এক দফা দাবিতে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে চান্দাইকোনা বগুড়া বাজার ঢাকা বগুড়া মহাসড়ক পযর্ন্ত প্রদক্ষিণ করে বিকাল সাড়ে ৩টা পযর্ন্ত স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে তারা।

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর শিক্ষক আয়া নৈশপ্রহরীসহ ৬টি পদে ৮০ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করে আত্মসাতের অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী

করোনা কালীন সময়ে এসএসসি ২০২১ পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ফি ও কেন্দ্র ফি মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যম শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী কর্তৃক ফেরত প্রদানের নির্দেশ থাকলেও তা শিক্ষার্থীদের ফেরত না দিয়ে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন এবং গত ২০২৩/২০২৪ অর্থবছরে পিবিজিআই স্কীমের মাধ্যমে বেটখৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বরে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রাপ্ত হয়েছে।

যাহা স্কুলের উন্নয়নে ব্যয় না করে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলেও ওই অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন তারা।

এদিকে এই প্রতিবেদককে স্কুলটির বেহাল দশা সরেজমিনে ঘুরে দেখায় শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন ছুড়ে বলে, আমরা শিক্ষকদের আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে চাই। কিন্তু কিন্তু শিক্ষক যদি হয় নীতি নৈতিকতাহীন দূর্নীতিগ্রস্থ তাহলে আমরা কি শিখবো?

এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম আকন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানায়, আপনারা গণমাধ্যমকর্মী। আমরা আপনাদের শ্রদ্ধা করি সন্মান করি। আমরা আশাবাদী আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে সত্যটা তুলে ধরবেন। আমাদের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের বেহাল দশা আপনাদের সরেজমিনে দেখালাম।

অনুদান আসে অথচ সংস্কার নাই। আমাদের কোনো শ্রেণি কক্ষে ফ‍্যান নাই অথচ প্রধান শিক্ষকের রুমে দুইটা এসি। আমরা এখানে ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করি, আমাদের জন্য কোনো টয়লেট বাথরুমের ব‍্যবস্থা নাই। অথচ প্রধান শিক্ষক যে টয়লেট ব‍্যবহার করেন সেটি পুরোটাই স্টাইল করা।

তাঁর অনিয়ম দূর্নীতির শেষ নাই। তিনি কোনোদিনও সময় মতো স্কুলে আসেন না। এছাড়াও স্কুলের নামে যে জমি আছে সেই জমিটিও তিনি চাষাবাদ করে নিজের ঘরে ফসল উঠান। তাই আমাদের এক দফা দাবি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তপূর্ব্বক সত‍্য উদঘটন করে তাঁর পদত্যাগ চাই।

এবিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম আকন্দের ব‍্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭১৪৫৬৭৪৯৭ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন।জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, আমি এবং পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। এরই মধ্যে কিছু বিষয় আমরা ফাইন্ড আউট করেছি।তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!