ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই: ভিপি নুর

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম

মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই: ভিপি নুর

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

মেআগামীতে আমরা মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র গঠনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা মনে করি, গর্ভবতী মায়েদের জন্য মানসম্মত খাদ্যে রাষ্ট্রকে একটা ভর্তুকি দেওয়া উচিত, যাতে করে মেধাবী শিশুর দুনিয়াতে আগমন ঘটে। মেধাবী শিশুর জন্ম হলেই আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর জেলা ও মহানগর শ্রমিক অধিকার পরিষদের উদ্যোগে কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি শ্রমিক অধ্যুষত গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভারসহ বিভিন্ন এলাকা  অস্থির হয়ে উঠছে। আমরা পরিষ্কার করে বলি, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে গণ অধিকার পরিষদ লড়াই করেছে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত গণধিকার পরিষদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। ন্যূনতম মজুরি কিংবা জিনিসপত্রের দাম না কমা পর্যন্ত গণধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ লড়াই করে যাবে।

নুর বলেন, যখন চট্টগ্রামে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকদের গুলি করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে লাঠিচার্জ করা হয়। শ্রমিকদের আন্দোলনকে ব্যাহত করার জন্য লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করা হয়। আমরা তার প্রতিবাদে গণধিকার পরিষদ পাশে  দাঁড়িয়েছি।

আগামীতেও শ্রমিকদের যেকোনো ন্যায় সঙ্গত দাবি আদায়ে শ্রমিক অধিকার এবং গণ অধিকার পরিষদের আমরা অগ্রভাগে থাকবো শ্রমিক ভাই বোনদেরকে আমরা এই কথাটুকু বলতে পারি।

 তিনি বলেন, একই সাথে এই যে ৪৫ থেকে ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা এই গার্মেন্টস সেক্টর। এই গার্মেন্টস সেক্টর ভিয়েতনাম, ভারতসহ যারা বাংলাদেশের প্রতিনিধি বিশেষ করে স্বৈরাচার ও তার দোসরা এই রপ্তানিমুখী খাতকে ধ্বংস করার জন্য বাংলাদেশের অর্থনীকে ধ্বংস করার পায়তারা করছেন। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি, হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছে। কাজেই আমার শ্রমিক ভাই-বোনদের প্রতি অনুরোধ থাকবে কারো উস্কানিতে পা না দিয়ে মিল কলকারখানায় কোন বিশৃঙ্খলা করবেন না।

কোন ধরনের আন্দোলন করে শিল্প কলকারখানা বন্ধ করবেন না। আপনাদের যদি কোন দাবি থাকে আপনারা ঢাকা কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে যোগাযোগ করবেন। দাবি আদায়ে রাজপথে থাকবো। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানও করব।

তিনি আরো বলেন, আপনাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না সবে মাত্র দুই মাস হয়েছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান  করে একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের পদত্যাগ ঘটিয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী শাসকরা গত দেড় দশকে অন্তত কয়েক হাজার পরিবারকে হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। তাই সরকার যেন সুন্দরভাবে দেশ চালাতে না পারে বাংলাদেশকে তারা একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। তাই তাদের চক্রান্ত সম্পর্কে সচেতন থেকে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে হবে । দেশের অর্থনীতি চাকাকে সচল করার জন্য গার্মেন্টসসহ সকল সেক্টরকে স্থিতিশীল রাখতে হবে।

আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, গার্মেন্টসের শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা অত্যান্ত যৌক্তিক দাবি। গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শ্রমজীবী মানুষরা ওভারটাইমের জন্য যে টাকা দাবি করছে তা যৌক্তিক দাবি। অতিরিক্ত কাজ করালে মানসম্মত নাস্তা দেওয়া যৌক্তিক দাবি।

শ্রমিকদের চিকিৎসার বিষয়ে বলেন, আমাদের শ্রমজীবী মানুষ চিকিৎসা পায় না। ঢাকার মেডিকেলের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায়। পিজিতে একটি সিট পাওয়া যায় না বেসরকারি হাসপাতালে সবাই চিকিৎসা নিতে পারে না। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানকে বলবো বাংলাদেশে ৫৩ বছরে আপনারা রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের যে সুযোগ পেয়েছেন দল মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করুন।

বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে, অর্থ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর আসাদের সঞ্চালনায় জেলা মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরবি/ এইচএম

Link copied!