শীতের শুরুতে হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত পাহাড়ে মানুষের জনজীবন, পাশাপাশি আছে কুয়াশার প্রকোপ। বিশেষ করে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ খুব কষ্টে আছেন। এ দুদিনে সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মানবিক সংগঠন মৈত্রী মিশন ফাউন্ডেশন।
গতকাল সংগঠনটির উদ্যোগে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙার দূর্গম এলাকায় যেখানেই সরকারি সেবা বঞ্চিত হরিধন মগ পাড়া (অযোধ্যা) বিহার প্রাঙ্গণে দুঃস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন, মৈত্রী মিশন ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা উ. ধর্মানন্দ থেরো।
তিনি বলেছেন, আমাদের চারপাশে যে অসহায় মানুষ রয়েছে তারা যেন শীতের কষ্ট লাঘব হয় এজন্য আমাদের এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
মৈত্রী মিশন ফাউন্ডেশন সভাপতি এম শ্রী ইন্দ্রবংশ ভিক্ষু বলেন, আমেরিকার প্রবাসী থোয়াইউ মারমা ও ফ্রান্স প্রবাসী থোয়াইসুইচিং মারমা আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় শতাধিক পাহাড়ের বসবাসরত অসহায় হতদরিদ্র পাহাড়ি ও বাঙ্গালি সম্প্রদায় পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এ হরিধন পাড়ায় যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত । তাই এলাকাতে আগামীতে প্রশাসনে সুনজর দেয়ার আহ্বান করেন সংগঠনের সভাপতি।
তিনি আরো বলেন, এ মৈত্রী মিশন ফাউন্ডেশন সংগঠন ২০১৯ সাল থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন ধরনের মানবিক সেবা কাজ করে আসছেন। ভবিষ্যতেও করে যাবো।
এসময় মৈত্রী মিশন ফাউন্ডেশন মহাসচিব, উ. সুধর্ম ভিক্ষু, সংগঠনে সদস্য সাজু মারমা, শুউচিং মারমা, উখ্যাইচিং মারমা, অংথোয়াইরি মারমাসহ এলাকায় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামবাসি রুইহ্লাপ্রু মারমা বলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা হতে ৭ কি. মি. দুরে বেলছড়ি ইউনিয়নে হরিধন মগ পাড়া এলাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চল একটি। গ্রামবাসীরা শীত উপেক্ষা করেই তাদের কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। আগের মতো কাজও পাচ্ছেন না তারা।
তিনি আরো বলেন, এ এলাকাতে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও বাঙ্গালি মুসলিমসহ চার সম্প্রদায়ের প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস। এলাকায় আমরা জনগণ খুবই গরীব এবং অসহায়। কষ্টকর দিনে মৈত্রী মিশন ফাউন্ডেশন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে আর্শিবাদ করি।
আপনার মতামত লিখুন :