বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চল পৌষের শীতে কাঁপছে। ভোর থেকে চারদিক কুয়াশায় আচ্ছন্ন। সেই সাথে মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সূর্যের দেখা মিলছে না। কনকনে ঠাণ্ডায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুর আর ছিন্নমূল মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা অনেকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। অনেকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিচ্ছে।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এই তাপমাত্রা এ বছর বাগেরহাটে শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন বলে মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়।
বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, শীতে তাদের প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। জবুথুবু করে তাদের রাত কাটছে। সকালে প্রচণ্ড শীতের কারণে তারা কাজ করতে পারছেন না। তাদের আয় কমে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে তাদের দিন কাটছে।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এদিকে ঠাণ্ডার কারণে বাগেরহাটে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে শুরু করেছে। বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ রোগী ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর শীতের তীব্রতা আরো কয়েকদিন থাকলে বোরো ধানের বীজপাতা ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর-রশিদ বলেন, আজ শুক্রবার বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কুয়াশার কারণে আর রোদ না থাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামীকাল শনিবারও এমন কুয়াশা থাকতে পারে।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমদ্দার বলেন, ঠাণ্ডায় বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :