চলছে শরৎকাল কিন্তু রাত আসলেই মনে হচ্ছে শীতকাল। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটাসহ থানার সব জায়গাতে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। দিনে গরম আবহাওয়া থাকলেও রাতের বেলায় লাগে শীতের অনুভূতি। রাত বাড়ার সাথে সাথে এলাকার প্রায় বাড়িতেই কাঁথা ও কম্বল গায়ে দিয়ে শীত নিবারণ করছে। দিনে গরম রাতে ঠান্ডা পড়াই সাধারণ মানুষের বেড়েছে কাশি, এলার্জি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগ।
সরজমিনে দেখা যায় রাতভর টিপটপ করে পড়া শিশির ফোটার কারণে ভোর হলেই দেখা যায় ফসলের মাঠ,খেলার মাঠের ঘাসের উপর কুয়াশার চিকচিক করে শিশির ফোটা। গতকাল সকাল ছয়টার সময় দেখা যায় ২৪থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আর এ কারনে গাড়ি চালাতে যেয়ে অনেকেই রাস্তায় কুয়াশার সামনে দেখতে অসুবিধা হওয়ায় মোটরসাইকেল ও গাড়ির হেডলাইট চালিয়ে যাতায়াত করছে।
তালা উপজেলার সুরুলিয়া ইউনিয়নের বাইগুনি গ্রামের ফটিক দাস বলেন, দিনের বেলায় গরম পড়ছে আর রাত হলে ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের টিনের চালের উপরে কুয়াশার শিশির ফোটা শব্দে আছড়ে পড়ছে। দিন দিন কুয়াশা বৃদ্ধি পাচ্ছে রাতে ঠান্ডার কারণে আপাতত আমাদের জন্য কাঁথা আর বাচ্চাদের জন্য কম্বল বাহির করেছি।
পাটকেলঘাটা বাজারের জনতা বেডিং অ্যান্ড বস্ত্রালয় এর মালিক শেখ মইনুল ইসলাম রুপালি বাংলাদেশকে বলেন, শীতের আমেজ আসার সাথে সাথে অন্যান্য সিজনে কেনাবেচা অনেক বেড়ে যায় কিন্তু এবার তুলা ও কাপড় এর দাম বেড়ে যাওয়ায় এখনো পর্যন্ত লেপ-তোষক কেনার জন্য ক্রেতা খুবই কম।
তিনি বলেন বিভিন্ন প্রকার ভেদে তুলার দাম উঠা নামা করছে শিমুল তুলা ৪৫০টাকা,কাপাস সাদা তোলা ১১০টাকা,ফ্রেশ সাদা তুলা ৮০টাকা,সুতার তুলা ৩৫টাকা।
অপরদিকে লেপ-তোষক এর কারিগর পার কুমিরা গ্রামের শাজাহান খান বলেন, আমরা অন্যবার লেপ তোষক বানানোর জন্য বিভিন্ন দোকান থেকে প্রচুর অর্ডার পায় এবার এখনো সেভাবে পাই নাই। সুই, সুতা ও কাপড়ের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমাদের ও পারিশ্রমিক একটু বেড়েছে।
শীতের পোশাকের জন্য তুলা ও কাপড়ের দাম বেশি হওয়াতে গ্রাহকরা এবার কম্বলের দিকে বেশি ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন দোকান মালিকেরা। আবার অনেকে তাদের নিজেদের সাধ্যের মধ্যে থেকে লেপ-তোষক বানিয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের সর্দি, কাশি ও এজমা সহ বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেলার তালা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, যে কোন ঋতু পরিবর্তন হওয়ার সময় সাধারণত এলার্জি ব্যথা বিভিন্ন উপসর্গ সহ যেকোনো রোগের বিভিন্ন লক্ষণ বেড়ে যায়। বর্তমানে শীতের আমেজ আসার সাথে সাথে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের ও বৃদ্ধদের এলার্জি, হাঁপানি, কাশি ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগ বর্তমান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেশি দেখা যাচ্ছে।
তিনি শীতকালীন এই সমস্ত রোগ থেকে নিজেকে রক্ষার্থে কুয়াশা ও ধুলা-বালি থেকে মুক্তির জন্য মার্কস পরিধান করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :