উত্তরের সীমান্ত ঘেষা জেলা কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের সাথে ঘন কুয়াশায় জবুথবু হয়ে পড়ছে গোটা জনপদ। এতে ঠান্ডার মাত্রা বাড়তে থাকায় বিপাকে পরছেন খেটে-খাওয়া, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলমান মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে ঠান্ডার মাত্রা। মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এসময় ভোররাত থেকে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। যা সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। ঘন কুয়াশার কারনে দূর পাল্লা ও স্বল্প পাল্লার যানবাহন গুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে কুয়াশা ও ঠাণ্ডার কারণে বিপাকে পরছেন খেটে-খাওয়া দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছে না।
নাগেশ্বরীর ভিতরবন্দের ভ্যানচালক মইনুল ইসলাম বলেন, `মালামাল নিয়ে কুড়িগ্রাম শহরের দিকে যাইতেছি। কুয়াশার কারনে সামনে কোন কিছুই ঠিক মতো দেখা যায় না। গাড়ীতে ওঠে ঠান্ডা বাতাসে হাত পা অবশ হওয়ার মতো অবস্থা। ঠান্ডা পুরোপুরি শুরু হলে আমাদের জন্য বিপদ।`
কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গার মাধবরাম এলাকার দিনমজুর আব্বাস আলী বলেন, `ভোররাত থেকে প্রচুর কুয়াশা পরছে। সেই সাথে ঠান্ডাও বাড়তেছে। বেলা বাড়লেও শীত ও ঘন কুয়াশা থাকায় কাজে যেতে দেরী হচ্ছে।`
পাঁচগাছির শুলকুর বাজার এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নারায়ন চন্দ্র বলেন, `আস্তে আস্তে ঠান্ডা বাড়তেছে। এখন সাইকেল চালিয়ে বাজারে গেলে শিরশির করে গায়ে ঠান্ডা বাতাস লাগে। ঠান্ডার কারনে মাছের ক্রেতা সমাগমও দেরীতে হয়।`
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বর্তমানে শীতের সাথে ঠান্ডার প্রকোপ কম থাকলেও আগামী সপ্তাহ নাগাদ হিমালয়ের বাতাসের আগমন ঘটতে পারে। যার ফলে ওই সময়ে হিমেল হাওয়া শুরু হতে পারে এবং তখন জেলার তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :