সুনামগঞ্জে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নাদের বখতসহ ৫ জনের জামিন না মুঞ্জর করেন।
রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে দ্রুত বিচার আদালতের বিজ্ঞ বিচার নির্জন মিত্র তাদের জামিন না মুঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃত অন্যান্য আসামিরা হলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শোয়েব আহমদ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক জুবায়ের আহমদ অপু ও মামলার ২৮ নং আসামিসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম শেফু জানান, গত ৪ আগস্টের ঘটনার মামলায় সাবেক পৌরসভার মেয়র নাদের বখতসহ যাদেরকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে মূলত এই ঘটনার সাথে তাদের কোন ধরনের সম্পৃত্তা নেই। তিনি আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্য গত ৪ আগস্টের সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে দোয়ারাবাজারের জহুর আহমদ গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গত ২রা সেপ্টেম্বর জহুরের বড়ভাই হাফিজ আহমদ বাদি হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটকে প্রধান আসামি করে সুনামগঞ্জ দ্রুত ট্রাইব্যুনালে ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অঞ্জাতনামা আরো অনেককেই আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা বেশকিছুদিন কারাবাসের পর এখন জামিনে রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :