শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নাগপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম

জমিদার বাড়ি এখন মহিলা অনার্স কলেজ

নাগপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম

জমিদার বাড়ি এখন মহিলা অনার্স কলেজ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলের  ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী নাগরপুর মহিলা অনার্স কলেজের ইতিকথা। ইতিহাস থেকে যতদুর জানা যায়-সুবিদ্ধা-খাঁ-র সূত্র ধরেই চৌধুরী বংশ নাগরপুরে জমিদারী শুরু করেন।

চৌধুরী বংশের প্রথম পুরুষ যদুনাথ চৌধুরী। প্রায় ৫৪ একর জমির উপর জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের বংশক্রমে দেখা যায়-এমন তার তিন ছেলে - উপেন্দ্র মোহন চৌধুরী, জগদীন্দ্র মোহন চৌধুরী, শশাঙ্ক মোহন চৌধুরী ।

বৃটিশ সরকার উপেন্দ্র মোহন চৌধুরীর বড় ছেলে সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরীকে সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্যে বিভিন্ন মুখীন সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ রায় বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করে। ছোট ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় চৌধুরী অপেক্ষাকৃত পাশ্চাত্য সংস্কৃতিঘেষা। তিনি ছিলেন অনেকের চেয়ে সৌখিন প্রকৃতির মানুষ। তিনি ছিলেন খুব ক্রীড়ামোদী। উপ-মহাদেশের বিখ্যাত ফুটবল দল ইষ্ট বেঙ্গল ক্লাবের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী। পাশ্চত্য এবং মোঘল সংস্কৃতির মিশ্রনে এক অপূর্ব নান্দনিক সৌন্দর্যে নির্মিত এই বৈঠকখানা বিল্ডিং এর উপরে ছিল নহবতখানা।

সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রতিদিন ভোর সকালে সানাই-এর ভৈরবী ধ্বনীতে চৌধুরী বংশের তথা এলাকার প্রজাবৃন্দের ঘুম ভাঙ্গত। শোনা যায় রায় বাহাদুরের ছোট ভাই সুরেশ চৌধুরীকে নাগরপুরে রেখে সম্পূর্ণ রাজধানী কলকাতার আদলে নাগরপুরকে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। চৌধুরী বাড়ীর রঙ্গমহলের পাশে এক সুদৃশ্য চিড়িয়াখানা ছিল। সেখানে শোভা পেত- ময়ূর, কাকাতোয়া, হরিণ, ময়না আর শেষ দিকে সৌখিন সুরেশ চৌধুরীর ইচ্ছায় চিড়িয়াখানায় স্থান করে নিল বাঘ এবং সিংহ। ১৯৪৭ এর দেশ বিভক্তির পর একসময় তদানিন্তন সরকার চৌধুরী বাড়ীর সকল সম্পদ অধিগ্রহণ করে। অট্টালিকাটির অভ্যন্তরের পুরো কাজটি সুদৃশ্য শ্বেত পাথরে গড়া।

বর্তমানে দৃশ্যমান চৌধুরী বাড়ীর এই  মুল ভবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নাগরপুর মহিলা অনার্স  কলেজ। কলেজের কেচি গেটের মধ্যেই রয়েছে চারটি তালা উক্ত জমিদারী আমলের, ইহা দৃশ্যমান।

অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমান জানান ২৬-৮-১৯৮৯ ইংরেজি সনে কলেজ প্রতিষ্ঠা লগ্নে এর নাম দেয়া হয়েছিল রওশন এরশাদ মহিলা বিদ্যালয়।

এখানে জমিদারদের জমির পরিমাণ ছিল ২২ একর। কলেজের নামে বরাদ্ধ দেয়া হয় ৫:৮১ একর, এখনও উক্ত বরাদ্ধকৃত ভূমির কিছু অংশ কলেজ কর্তৃপক্ষর বে দখল রয়েছে। অধ্যক্ষের মতামত এখানে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করা হলে নাগরপুর বাসী আরও লাভবান হবেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!