ঢাকা: রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মো. মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে, সেটি মূলত রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনকারী বর্তমানে পলাতক এস আলমের মালিকানাধীন একটি বাড়ি।
দুর্নীতি দমন কমিশনে করা অভিযোগটি হুবহু তুলে ধরাহলো-
যথাবিহীত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে আমি মো. মোশারফ হোসেন এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, ৬৬নং পাইওনিয়ার রোডে অবস্থিত বাড়িটি যা এতদিন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে, সেটি মূলত রাষ্ট্রের সম্পদ লুণ্ঠনকারী বর্তমানে পলাতক এস আলমের মালিকানাধীন একটি বাড়ি। এস আলম ইউনিয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে তার মেয়ের নামে এই বাড়িটি খরিদ করেন। বর্তমানে এই বাড়ির দলিল ইউনিয়ন ব্যাংকের জামানত হিসাবে জমা রয়েছে।
ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে এস আলম সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে উক্ত বাড়িটি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। এরশাদ সাহেবের মৃত্যুর পর তার ভাই জি এম কাদের এই বাড়িটিকে জাতীয় পার্টির অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন এবং এস আলম এর অর্থায়নে জিএম কাদের তার পার্টি পরিচালনা করে আসছে। মূলত এস আলমের অবৈধ কর্মকান্ডে সহযোগিতা করে এসেছেন। আর এটা সর্বজনবিদিত যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম অর্থ সহায়তাকারী ছিলেন এস আলম। সেই সুযোগ নিয়ে এস আলম রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন করতে পেরেছেন।
গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর এস আলমের পলাতক রয়েছেন এবং তার যাবতীয় সম্পদ বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতায় রয়েছে। ফলে ৬৬ নং পাইওনিয়ার রোডের বাড়িটিও সরকারের মালিকানায় চলে গেছে। যেহেতু জনগণের সম্পদ লুট করে এস আলম বিপুল বিত্ত-বৈভাবের মালিক হয়েছেন সেহেতু এই বাড়িটিও এখন জনগণের সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। সুতরাং এই বাড়িটির এখন বিক্রি করে সেই অর্থ জনগণের কাজে ব্যবহার করা কিংবা সরকারি সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আশা করি দুর্নীতি দমন কমিশন অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে, যারা বাড়িটি এতদিন অবৈধভাবে ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জনগণের সম্পত্তি হিসেবে বাড়িটি উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এমতবস্থায়, আপনার নিকট আবদেন থাকে যে, আপনি উক্ত বিষয়টি বিবেচনাপ্রসূত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :