ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৮:০৮ এএম

স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত মেয়েটি। গত ১৬ জানুয়ারি কেনাকাটার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল। পরে আর ফেরেনি। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে হাতিরঝিল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, হাত-পা বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে তারা হত্যা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদি হাসান জানান, ওই কিশোরী নিখোঁজ হয় গত ১৬ জানুয়ারি। পরে ১৯ জানুয়ারি তার বাবা থানায় একটি জিডি করেন। জিডির পর পুলিশ তদন্তে নামে।

২৭ জানুয়ারি একটি মামলা করেন মেয়েটির বাবা। তদন্তে কিশোরীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রবিন নামের এক যুবকের সঙ্গে তার যোগাযোগের তথ্য পায় পুলিশ। গত ৩০ জানুয়ারি রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরেকজন যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর দুজনকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। রিমান্ডে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করে হাতিরঝিলে লাশ ফেলে দিয়েছেন।

মেহেদি হাসান আরো জানান, রাব্বি ও রবিনের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে হাতিরঝিল থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেয়েটিকে হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি। সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, কিশোরীটিকে হত্যার পর মরদেহ বস্তাবন্দি করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে লাশ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসে অভিযুক্তরা। পরে মরদেহটি সেতু থেকে হাতিরঝিলে ফেলে দিয়ে যে যার বাসায় চলে যান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে রবিনের পরিচয় হয়। পরে তাকে মহাখালীর একটা বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করেন রবিনসহ পাঁচজন। ধর্ষণের সময় কিশোরীর হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দক্ষিণখান থানার ওসি মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর বাবা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি পরিবার নিয়ে থাকেন দক্ষিণখানে। অভিযুক্ত রবিন পেশায় একজন গাড়িচালক। রাব্বির নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। অভিযুক্ত অন্য তিনজনও রবিনের পূর্বপরিচিত।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!