ঢাকা রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম

বিএনপি-জামায়াতকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা

ছবি সংগূহীত

ঢাকা: রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক ডিসি মশিউর রহমান রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।

বিএনপি-জামায়াতকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিতেন লক্ষ লক্ষ টাকা, অথবা তাদের উপর চালানো হতো নির্যাতন। মশিউরের কারণে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা কোণঠাসা ছিলেন। তা ছাড়া দায়িত্বে থাকার সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন, বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মশিউরের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আসামি পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে অনেক অপরাধের কথা স্বীকারও করেছেন। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে মশিউরকে গ্রেপ্তার করার পর শুক্রবার আদালত তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা এর আগে দীর্ঘদিন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপকর্মে যুক্ত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানার নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এই হত্যার পেছনে হাত রয়েছে মশিউরের। ওয়াদুদ মারা যাওয়ার পর এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলার আসামি এই মশিউর।

জানতে চাইলে মামলার বাদী আব্দুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যার ঘটনায় মশিউর দায় স্বীকার করেছেন। তা ছাড়া ওই এলাকায় তিনি অনেক দিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেক মানুষকে মশিউর কোনো ধরনের অপরাধ ছাড়াই মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে। তিনি পুলিশের পোশাকের আড়ালে ভয়াবহ অপরাধে যুক্ত ছিলেন।

সম্প্রতি উপকমিশনার (ডিসি) থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। তবে নতুন পোস্টিং না হওয়ায় তিনি ৫ আগস্ট পর্যন্ত লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (গোয়েন্দা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকার পতনের পর প্রভাবশালী এই কর্মকর্তাকে ডিবি থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
 

আরবি/এস

Link copied!