ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দুদকের নজরে অর্ধশত পুলিশ কর্মকর্তা

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৪:৩২ এএম

দুদকের নজরে অর্ধশত পুলিশ কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পুরো জুলাই মাস এবং আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করেছে পুলিশ। ঢাকাসহ সারা দেশেই আন্দোলন দমাতে চলেছে পুলিশি তাণ্ডব। ফলে পাল্টা আঘাত হিসেবে জনতা পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের টানা ১৫ বছরের শাসনকালে বিরোধীদলগুলোর ওপর নানা দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকারের আস্থা অর্জন করেছিল পুলিশের অনেক কর্মকর্তা। আর সেটিকে প্রতিদান হিসেবে কাজে লাগিয়ে দেশে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পুলিশের এসব কর্মকর্তা। এক কথায় ক্ষমতা প্রদর্শনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করা পুলিশের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ইতোমধ্যে কমিশন তাদের নজরে এনেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। শিগগিরই এসব কর্মকর্তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে। 

ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের তালিকা প্রস্তুত ও তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

২০০৮ সালে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসলেও পরবর্তীতে বাস্তবে কার্যত একটি ‘একনায়কতান্ত্রিক’ সরকারে পরিণত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। সাধারণ জনগণ দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্র বলে কটাক্ষ করতো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পুলিশকে লাটিয়াল বানিয়ে ব্যবহার করেছেন। আর এরই সুযোগে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। কাউকে তোয়াক্কা করত না। নিজেদের ইচ্ছেমাফিক নির্যাতন চালিয়েছে বিরুদ্ধমতসহ সাধারণ নাগরিকদের। আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বানিয়েছেন নিজেদের।

রাজনীতির মাঠে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দমনে দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা ঘুষবাণিজ্য থেকে শুরু করে পুলিশের নিয়োগ, পদায়ন, চাঁদাবাজি,  টেন্ডারবাজি, মামলায় হস্তক্ষেপ, গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে, মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ী বা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগও আছে অনেকের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের এসব কর্মকর্তারা নির্মম কায়দায় বল প্রয়োগ করেছেন। তাদের নির্দেশে অধস্তন অনেকে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, বিগত দিনের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে এসব উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। যারা গত ১৬ বছরে উচ্চাভিলাষী অপেশাদার আচরণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সদ্যবিদায়ি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ নিয়ে তারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ করেছেন বলেও প্রমাণ রয়েছে। এদের অনেকেই ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্নীতিবাজ এসব কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করেছে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট। অভিযুক্ত শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়ে তারা তৎপর হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করছে সংস্থাটি।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, উচ্চাভিলাষী ও অপেশাদার ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের এখনো পূণাঙ্গ তালিকা হয়নি। খোঁজখবর নিয়ে বিগত দিনের  কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে তালিকা তৈরি হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে সম্মুখ সারিতে থাকা অনেকের নাম উঠে এসেছে। এদের মধ্যে সাবেক প্রভাবশালী আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম রয়েছে। যদিও তিনি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর অনেক আগেই দেশত্যাগ করেছেন। তালিকায় নাম রয়েছে সদ্য সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের। আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর দুই দফায় চুক্তিভিত্তিক আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তার বিরুদ্ধে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও গুলির নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে।

তালিকায় রয়েছে, ১৯৯১ সালে নিয়োগ পাওয়া ১২তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজি কামরুল আহসান, বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া আতিকুল ইসলাম ও সদ্য অবসরে যাওয়া সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের নাম। ১৯৯৫ সালে নিয়োগ পাওয়া ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন এসবির সদ্য বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া এসবি প্রধান মো, মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, শিল্প পুলিশের প্রধান মাহবুবুর রহমান, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদ, সিআইডির সদস্য ওএসডি হওয়া প্রধান অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া, অতিরিক্ত আইজি দেব দাস ভট্টাচার্য, খন্দকার লুৎফুল কবীর, চট্টগাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মীর রেজাউল আলম। 

১৯৯৮ সালে নিয়োগ পাওয়া ১৭ ব্যাচের ডিএমপির বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি অপারেশন আনোয়ার হোসেন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, রংপুর রেঞ্জের অব্যাহতি পাওয়া ডিআইজি আব্দুল বাতেন, চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও সিআইডির শেখ নাজমুল আলম।

নাজমুল আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। ১৯৯৯ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন কমিশনার মো. মাহবুব আলম, রংপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার ও চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মো, মনিরুজ্জামান, পুলিশ সদর দপ্তরের জয়দেব কুমার ভদ্র ও চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। ২০০১ সালে নিয়োগ পাওয়া ২০ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন শাহ মিজান শফিউর রহমান, মো. আনিসুর রহমান, মোল্যা নজরুল ইসলাম, এসএম মোস্তাক আহমেদ, জিহাদুল কবীর, মো. ইলিয়াস শরীফ, নূরে আলম মিনা, শাহ আবিদ হোসেন, মো. জামিল হাসান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইসলাম, রাজশাহী রেঞ্জের বিপ্লব বিজয় তালুকদার, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বহুল আলোচিত মো. হারুন অর রশীদ, এসবির মোহা. মনিরুজ্জামান, শ্যামল কুমার নাথ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আলমগীর কবির, মো হামিদুল আলম, ড. শামসুন্নাহার, শেখ রফিকুল ইসলাম, ড. একেএম ইকবাল হোসেন ও মো. মাসরুকুর রহমান খালেদ।

২০০৩ সালে নিয়োগ পাওয়া ২১তম ব্যাচের ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, মো. মারুফ হোসেন সরদার, বিজয় বসাক ও সুব্রত কুমার হালদার, মো সাজ্জাদুর রহমান, প্রবীর কুমার রায়, আসম মাহতাব উদ্দিন, মোহা আহমারুজ্জামান, সুভাষ চন্দ্র সাহা, মো মোকতার হোসেন ও পংকজ চন্দ্র রায়। ২২তম ব্যাচের ডিএমপির যুগ্মকমিশনার খন্দকার নূরুন্নবী, এসএম মেহেদী হাসান, একই ব্যাচের মোহাম্মদ জায়েদুল ইসলাম ও সঞ্জিত কুমার রায়। ২০০৫ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৪ বাচের মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, ডিবির উপকমিশনার মশিউর রহমান (সদস্য সিএমপিতে বদলি), নাবিদ কামাল শৈবাল, মো. শহিদুল্লাহ, সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ। ২০০৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৫তম ব্যাচের ঢাকার এসপি মো. আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জের এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল, পাবনার এসপি মো. আব্দুল আহাদ, ডিএমপির মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, রাজিব আল মাসুদ, আসমা সিদ্দিকা মিলি, কাজী আশরাফুল আজিম, হায়াতুল ইসলাম খান, জসিম উদ্দিন মোল্লা ও মো. শাহজাহানসহ কয়েকজনের নাম রয়েছে। এ ছাড়া মহিবুল ইসলাম খান, মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনসহ আরও অনেকের নাম রয়েছে। সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, জাবেদ পাটোয়ারী, শহিদুল হক, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও খন্দকার ফারুক হোসেন ও মো. শফিকুল ইসলাম রয়েছেন। এর বাইরেও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার ও থানার অনেক ওসি এবং বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের পরিদর্শকদের নামও আছে তালিকায়।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, এসব কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের সন্ধানে নেমেছেন কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও ডিএমপির সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের সম্পদের তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এমন আভাস পাওয়া গেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলছে না পুলিশের কেউ।

পুলিশের নতুন আইজি মো. ময়নুল ইসলাম বাহিনীকে শুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১৩ আগস্ট গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুলিশপ্রধান বলেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে যেসব পুলিশ অপরাধ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভাগীয় ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। পুলিশের লোগো ও ইউনিফর্ম পরিবর্তনের জন্য ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে পুলিশের প্রশিক্ষণের ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন থেকে পুলিশে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিলেন তারা বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এছাড়া নিচের পদের কর্মকর্তা যারা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারা এখন জাগ্রত হয়েছেন। দুর্নীতিবাজ ও দলকানা পুলিশ অফিসারদের চাকরিচ্যুত করার দাবি তুলছেন তারা। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি পুলিশে উচ্চাভিলাষী অপেশাদার শতাধিক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা বিগত সরকারের সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘অতিরিক্ত বল প্রয়োগ’ করেছেন বলে প্রমাণ রয়েছে। এদের অনেকে ছাত্র জনতার ওপর প্রাণঘাতী গুলিরও নির্দেশ দিয়েছেন। চিহ্নিত কর্মকর্তারা নিজেদের ‘বিশেষ আদর্শে’র পরিচয় দিতেন। পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দা কার্যক্রম ও বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে, শেখ হাসিনা সরকারের মদদে রাজনীতির মাঠে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দমনে দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন পুলিশের প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ভিন্ন সিন্ডিকেট। ঘুষ বাণিজ্য থেকে শুরু করে পুলিশের নিয়োগ, পদায়ন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলায় হস্তক্ষেপ, গ্রেপ্তার বাণিজ্য করে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন তারা। সেই সঙ্গে ক্রসফায়ার ও মামলার ভয় দেখিয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তাদের নির্দেশেই শিক্ষার্থীর ওপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়েছে তাদের অধস্তন পুলিশ সদস্যরা। তাদের এই চেষ্টা গত ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বহাল রাখার জন্য দলীয় কর্মীর মতো ভূমিকা পালন করেছেন এসব পুলিশ কর্মকর্তা। ছাত্র-জনতার রোষানলে টিকতে না পেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর পুলিশের কর্মকর্তারাই বিভিন্ন সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অতিরিক্ত বল প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করেছেন।

চিহ্নিত হওয়া কর্মকর্তাদের অনেকেই এখন পলাতক। এছাড়া তাদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। কেউ কেউ বিদেশে পালিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!