ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা, সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর আত্মীয় ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদ সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সখ্য থাকায় মন্ত্রিত্ব বাগিয়ে নেন নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে শিল্প খাতকে ধ্বংসের অভিযোগ রয়েছে আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে।
প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আত্বীয় এবং দেশের ব্যাংকিং এবং শেয়ারবাজার থেকে অর্থলোপাটকারী সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্টতার সুযোগে নরসিংদী থেকে এমপি হন নূরুল মজিদ। পরে শিল্পমন্ত্রী হন তিনি। আমু এবং সালমানের আনুকূল্য পেয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠা নূরুল মজিদ শিল্প খাত এক প্রকার ধ্বংস করে দেন বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অর্থলোপাট করতে বিবর্তিক সিন্ধান্ত নিতে গিয়ে শিল্প খাতকে নষ্ট করেন গত ৫ বছরে।
অন্যদিকে, সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী গত ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে নরসিংদী-৪ (বেলাব-মনোহরদী) আসনের একটি কেন্দ্রে ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেদিন সকাল আটটার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রটিতে একদল কর্মী নিয়ে বেআইনিভাবে প্রবেশ করেন মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী। এ সময় তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ১২টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে জোর করে নৌকা মার্কায় সিল মারেন। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন পাঁচবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম খাঁন বীরু।
উল্লেখ্য, গত দেড় দশকে পুরো নরসিংদী জেলাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং তার পরিবারের সদস্যরা। নূরুল মজিদের অনুসারীদের দ্বারা ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাটির আন্ডারওয়ার্ল্ড ছিল উত্তপ্ত। সারা বছরই হত্যাকাণ্ড এবং লুটপাট ডাকাতি চাঁদাবাজির ঘটনা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক।
আপনার মতামত লিখুন :